ব্লকচেইন কি?-ব্লকচেইন কত প্রকার ও কি কি-ব্লকচেইনের সুবিধা ও অসুবিধা
ব্লকচেইন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে যুগান্তকারী প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে একটি।
ব্লকচেইনকে ডিজিটাল লেনেদেনে ক্ষেত্রে মেরুদণ্ড হিসাবে বর্ণনা করা হয়। কারণ,
ব্লকচেইন হলো একটি ডিজিটাল লেজার যা কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক জুড়ে নিরাপদে এবং
স্বচ্ছভাবে লেনদেন রেকর্ড করে। একটি একক কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গতানুগতিক
ডাটাবেসের বিপরীতে, ব্লকচেইনে বিকেন্দ্রীভূত সিস্টেম ব্যবহার করা হয় - যার অর্থ
কোনও একক ব্যক্তি বা সংস্থার ডেটার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সহজ ভাষায়,
ডিজিটাল জগতে ব্লকচেইন তার ডেটা সুরক্ষা, স্বচ্ছতা এবং নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে
ব্যবহারকারীর মাঝে আস্থা তৈরি করে।
আর্টিকেল শেষে যা জানবেন
ব্লকচেইন কি? ব্লকচেইন কে আবিষ্কার করেন? কেন একে ব্লকচেইন বলা হয়? ব্লকচেইন
কত প্রকার ও কি কি ব্লকচেইন বনাম ব্যাংক ব্লকচেইনের সুবিধা ও অসুবিধা ব্লকচেইন
কি নিরাপদ? উপসংহার
ব্লকচেইন কি?
ব্লকচেইন হলো একটি ডিজিটাল, বিকেন্দ্রীভূত লেজার (Decentralized Ledger) বা
খতিয়ান যা কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে লেনদেন করা হয় এবং স্বচ্ছ ও
নিরাপদে সকল ডেটা “ব্লক”-এ রেকর্ড করে এবং কালানুক্রমিকভাবে একে অপরের সাথে
সংযুক্ত হয়ে একটি “চেইন” তৈরি করে।একটি কম্পিউপারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটারের
কানেকশন বা নেটওয়ার্ককে ‘নোড’ বলে। সাধরণত, ব্যাংক বা অন্যান্য ফিনানসিয়াল
লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। এ সকল
প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রাডিশনাল ডাটাবেস থাকে।
কিন্তু ব্লকচেইনের এরকম ট্রেডিশনাল ডেটাবেজ থাকেনা এবং ব্লকচেইন মধ্যস্থতাকারী
ছাড়াই কাজ করে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং জালিয়াতির ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতিটি
লেনদেন একটি ব্লকে সংরক্ষিত থাকে এবং প্রতিটি ব্লক ক্রিপ্টোগ্রাফিক কোডের মাধ্যমে
পূর্ববর্তীটির ব্লকের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবেই একটি অবিচ্ছিন্ন “ব্লকের শৃঙ্খল”
বা “ব্লক চেইন” তৈরি করে। এই “ব্লক চেইন” কাঠামো ডেটাকে অপরিবর্তনীয় করে তোলে।
অর্থাৎ, ট্রানজেকশন ডেটা একবার রেকর্ড/সংরক্ষণ করা হয়ে গেলে এটি পরিবর্তন করা,
টেম্পারিং করা বা মুছে ফেলা সম্ভব হয় না।
কোনও কেন্দ্রীয় একক কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর না করে, নেটওয়ার্কের সমস্ত
অংশগ্রহণকারীদের কাছে লেনদেনের লেজারের শেয়ার কারা একটি কপি থাকে , যা একক সচ্ছতা
ও সত্যের উৎস তৈরি করে। সহজ কাথায়, ব্লকচেইন হলো একটি বিতরণকৃত খাতা/লেজার
{Distributed Ledger of Transaction (DLT)} যেখানে ক্রমবর্ধমান রেকর্ডের (ব্লক)
তালিকা থাকে যা ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশের মাধ্যমে নিরাপদে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত
থাকে। ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানির (McKinsey & Company) মতে, “ব্লকচেইন হলো
একটি নিরাপদ ডাটাবেস যা অংশগ্রহণকারীদের একটি নেটওয়ার্ক জুড়ে শেয়ার করা হয়,
যেখানে একই সময়ে সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ-টু-ডেট তথ্য পাওয়া যায়।”
আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলেঃ
একটি ব্লকচেইন ব্লক নামক বিচ্ছিন্ন ইউনিটে ডেটা রেকর্ড করে।
প্রতিটি ব্লক লেনদেনের (বা রেকর্ড) একটি সেট একত্রিত করে।
একবার একটি ব্লক ভেরিফাই করা হলে, এটি একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক রেফারেন্সের
মাধ্যমে পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্লকের একটি চেইন তৈরি করে।
যেহেতু প্রতিটি ব্লক তার পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাই অতীতের
ডেটার সাথে হস্তক্ষেপ/টেম্পারিং করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
লেজার/ডাটাবেস গুলো বিতরণ করা হয়। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী (বা নোড) প্রায়শই
লেজারের একটি কপি হোল্ড করে, অথবা কমপক্ষে এটি ভেরিফাই করতে অংশগ্রহণ করে।
সিস্টেমটি প্রায়শই সেন্ট্রাল কর্তৃপক্ষ ছাড়াই কাজ করার পরিবর্তে, নেটওয়ার্ক
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ করে যা ট্রাডিশনাল
মধ্যস্থতাকারীকে প্রতিস্থাপন করে।
ব্যবহারিক অর্থে, মনে করুন এটি একটি স্প্রেডশিট যা অনেক কম্পিউটারে একটি করে
ডুপ্লিকেট কপি রয়েছে। যদি এই স্প্রেডশিটে নতুন লাইন যুক্ত করতে হয় তাহলে
অনুমোদনের আগে সেই সমস্ত কম্পিউটারকে সম্মত হতে হবে। যদি এই স্প্রেডশিটটি
ক্রিপ্টোগ্রাফিকভাবে সুরক্ষিত না থাকে তাহলে হিস্ট্রি ওভাররাইট করা যায় না এবং
প্রত্যেকে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে একই সংস্করণ দেখতে পায়।
ব্লকচেইন কে আবিষ্কার করেন?
স্টুয়ার্ট হ্যাবার এবং ডব্লিউ. স্কট স্টর্নেটা (Stuart Haber and W. Scott
Stornetta), দুই গবেষক ১৯৯১ সালে প্রথম ব্লকচেইন প্রযুক্তির রূপরেখা তৈরি
করেছিলেন। তাঁরা এমন একটি ব্যবস্থা বা সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন যেখানে
ডকুমেন্ট টাইমস্ট্যাম্পের সাথে কোনও হস্তক্ষেপ করা যাবে না। কিন্তু প্রায় দুই
দশক পরে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বিটকয়েন চালু হওয়ার পর, বিশ্বে ব্লকচেইনের
প্রথম বাস্তব প্রয়োগ শুরু হয়।
কেন একে ব্লকচেইন বলা হয়?
লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতির কারণে এটিকে ব্লকচেইন বলা হয়। যেহেতু প্রতিটি
ট্রানজেকশনের সময় একটি করে ব্লক তৈরী হয় এবং লেনদেনের ডাটা প্রতিটি ব্লকে
সংরক্ষিত থাকে এবং প্রতিটি ব্লক একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে একটি শৃঙ্খল তৈরি করে
তাই একে ব্লকচেইন বলা হয়। লেনদেনের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ব্লকচেইনও বৃদ্ধি
পায়।
ব্লকচেইন কত প্রকার ও কি কি
সব ব্লকচেইন সমানভাবে তৈরি হয় না। বিভিন্ন ব্লকচেইন বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য
তৈরী করা হয়েছে। ব্লকচেইনে কারা অ্যাক্সেস, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করতে পারে তার
উপর নির্ভর করে, ব্লকচেইনকে চারটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
অর্থনীতি খাতে, বিশেষ করে পেমেন্ট এবং ব্যাংকিংয়ের কাজে, ব্লকচেইনকে একটি বাধা
প্রদানকারী শক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, ব্যাংক এবং বিকেন্দ্রীভূত
ব্লকচেইনগুলো সম্পূর্ণ আলাদা।
ব্লকচেইনের সুবিধা ও অসুবিধা
প্রতিটি যুগান্তকারী প্রযুক্তির মতো, ব্লকচেইনও শতভাগ নিখুঁত নয়। ব্লকচেইন
শক্তিশালী, তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। একদিকে, এটি ডিজিটাল লেনদেনে আস্থা, স্বচ্ছতা
এবং সুরক্ষা নিয়েে এসেছে যা আগে কখনও ছিলোনা। অন্যদিকে, এটি স্কেলেবিলিটি,
শক্তির ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ব্লকচেইনের সুবিধা
সকল জটিলতার মধ্যেও, রেকর্ড-রক্ষণের বিকেন্দ্রীভূত/ডিসেন্ট্রালাইজড রূপ হিসেবে
ব্লকচেইনের সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে।ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত
নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কম প্রক্রিয়াকরণ ফি এবং কম ত্রুটি পর্যন্ত, ব্লকচেইন
প্রযুক্তি অন্যান্য প্রযুক্তির চেয়ে অনেক নিরাপদ। তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে।
সংক্ষেপে ব্লকচেইনের সুবিধা ও অসুবিধা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে মানুষের সম্পৃক্ততা দূর করে এর অ্যাকুরেসি উন্নত করা
হয়েছে।
থার্ড-পার্টি ভেরিফিকেশন বাদ দিয়ে খরচ কম করা হয়েছে।
ডি-সেন্ট্রালাইজড হওয়ার কারণে তথ্যের কারসাজি/টেম্পারিং করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
লেনদেন আরো নিরাপদ, ব্যক্তিগত এবং দক্ষ হয়েছে।
ব্লকচেইন একটি বিশ্বস্ত্ ও স্বচ্ছ প্রযুক্তি।
অস্থিতিশীল বা অনুন্নত সরকার সহ দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য একটি ব্যাংকিং
ব্যবস্থার বিকল্প এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত করার একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ উপায়
প্রদান করে।
ব্লকচেইনের অসুবিধা
কিছু কিছু ব্লকচেইনের সাথে যুক্ত উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তির খরচ বেশি।
প্রতি সেকেন্ডে লেনদেনের সংখ্যা কম।
অবৈধ কার্যকলাপে ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে, যেমন- ডার্ক ওয়েবে ব্লকচেইন ব্যবহৃত
হয়।
ব্লকচেইনের নিয়ন্ত্রণ এখতিয়ার (Jurisdiction) অনুসারে পরিবর্তিত হয় এবং
অনিশ্চিত থাকে।
ডেটা স্টোরেজ সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ব্লকচেইন কি নিরাপদ?
ব্লকচেইন প্রযুক্তি বিভিন্ন উপায়ে বিকেন্দ্রীভূত নিরাপত্তা এবং বিশ্বাস অর্জন
করেছে। ব্লকচেইনের, নতুন ব্লকগুললো সবসময় রৈখিক এবং কালানুক্রমিকভাবে (Linearly
and Chronologically) সংরক্ষণ করা হয়। অর্থাৎ, ব্লকগুলো সর্বদা ব্লকচেইনের
“শেষে” যোগ করা হয়। ব্লকচেইনের শেষে একটি ব্লক যুক্ত করার পরে, পূর্ববর্তী
ব্লকগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। যেকোনো ডেটার পরিবর্তন হলে ব্লকের হ্যাশ
পরিবর্তন হয়।
কারণ, প্রতিটি ব্লকে পূর্ববর্তী ব্লকের হ্যাশ থাকে, তাই একটিতে পরিবর্তন করলে
পরবর্তি ব্লকগুলোর হ্যাশের পরিবর্তন হবে। নেটওয়ার্ক সাধারণত একটি পরিবর্তিত ব্লক
রিজেক্ট করবে কারণ হ্যাশগুলো মিলবে না। তবে, ছোট ব্লকচেইন নেটওয়ার্কগুলোতে একটি
পরিবর্তন করা যেতে পারে।একটি নতুন এবং ছোট ব্লকচেইন গুলো এই ধরণের আক্রমণের জন্য
সংবেদনশীল হতে পারে। তবে আক্রমণকারীর নেটওয়ার্কের কম্পিউটেশনাল পাওয়ারের
কমপক্ষে অর্ধেক (৫১% আক্রমণ) প্রয়োজন হবে। বিটকয়েন এবং অন্যান্য বৃহত্তর
ব্লকচেইনের ক্ষেত্রে, এটি প্রায় অসম্ভব।
হ্যাকার যখন কোনও পদক্ষেপ নেয়, তখন নেটওয়ার্কটি সম্ভবত তারা যে ব্লকগুলোর
পরিবর্তন করার চেষ্টা করছিল সেগুলো অতিক্রম করে ফেলেছে। এর কারণ হলো যে, এই
নেটওয়ার্কগুলোর হ্যাশের হার ব্যতিক্রমীভাবে দ্রুত - বিটকয়েন নেটওয়ার্কটি ২০২৫
সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৮৫১ এক্সহ্যাশ হারে হ্যাশ তৈরী
করেছে।
বি.দ্র.
সব ব্লকচেইন ১০০% দুর্ভেদ্য নয়। ব্লকচেইন হলো বিতরণকৃত লেজার যা কোড ব্যবহার করে
সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। যদি কোডিংয়ে দুর্বলতা থাকে, তাহলে ব্লকচেইনকে ভেদ করা
যেতে পারে।
উপসংহার
অনেক প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আরো অন্বেষণ
করা হচ্ছে। বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা এবং জনপ্রিয়তার কারণে
ব্লকচেইন বর্তমানে আলোচিত বিষয় গুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বজুড়ে প্রতিটি
বিনিয়োগকারীর মাথায় একটি জনপ্রিয় শব্দ হিসাবে, ব্লকচেইন ব্যবসা এবং সরকারী
কার্যক্রমকে আরও নির্ভুল, দক্ষ, নিরাপদ এবং সস্তা করে তুলেছে কারণ ব্লকচেইনে তোন
মধ্যস্থতাকারীর থাকেনা।
সচরাচর জিজ্ঞাসাঃ
ব্লকচেইন কি ধরনের প্রযুক্তি?
ব্লকচেইন শুধুমাত্র একটি ডাটাবেস নয়; এটি একটি ডিস্ট্রিবিউটেড,
পিয়ার-টু-পিয়ার লেজার প্রযুক্তি।ব্লকচেইন একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ডিজিটাল
ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং
কনসেনসাস মডেল গুলোকে একত্রিত করে। ব্লকচেইনকে বিশ্বাস, স্বচ্ছতা, অখণ্ডতা
এবং অটোমেশন প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ব্লকচেইন কি হ্যাক করা সম্ভব?
তত্ত্বগতভাবে, এটি অত্যন্ত কঠিন। ব্লকচেইনের বিকেন্দ্রীভূত কাঠামো,
ক্রিপ্টোগ্রাফিক নিরাপত্তা এবং ঐক্যমত্য অ্যালগরিদম (Consensus
Algorithms)-এর কারণে ব্লকচেইনকে হ্যাক করা বা টেম্পারিং করা প্রায় অসম্ভব।
তবে, ব্লকচেইনের পরিবর্তে ব্লকচেইনের উপরে নির্মিত অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে (যেমন-
স্মার্ট কন্ট্রাক্ট বা এক্সচেঞ্জ) দুর্বলতা থাকতে পারে।
ব্লকচেইন কে নিয়ন্ত্রণ করে?
একটি পাবলিক ব্লকচেইন, কোনও একক সত্তা, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা নেটওয়ার্ক
নিয়ন্ত্রণ করে না। এটি সমস্ত অংশগ্রহণকারী/ব্যবহারকারীর নোড দ্বারা
সম্মিলিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু, প্রাইভেট বা কনসোর্টিয়াম
ব্লকচেইনে, নিয়ন্ত্রণ শেয়ার করা হয় বা অনুমোদিত সংস্থাগুলো দ্বারা পরিচালিত
হয়।
ব্লকচেইনের সুবিধা কী কী?
স্মার্ট কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা, বিকেন্দ্রীকরণ, খরচ কমানো
এবং অটোমেশন করা।
ব্লকচেইন ও বিটকয়েন কি একই জিনিস?
না, ব্লকচেইন ও বিটকয়েন একই জিনিস নয়। বিটকয়েন হলো ব্লকচেইন প্রযুক্তির
প্রাচীনতম প্রয়োগগুলোর মধ্যে একটি। তবে ব্লকচেইন নিজেই অনেক বিশদ একটি বিষয়।
ব্লকচেইন হলো একটি অন্তর্নিহিত সিস্টেম যা বিটকয়েন লেনদেন বা ট্রানজেকশন
রেকর্ড করে।
ব্লকচেইনের ভবিষ্যৎ কী?
ব্লকচেইন ভবিষ্যৎ হাইব্রিড এবং টেকসই। যেখানে প্রাইখেট ও পাবলিক মডেলের
সমন্বয় থাকবে। ব্লকচেইন বৃহত্তর স্কেলেবিলিটি, আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং
স্থায়িত্বের দিকে বিকশিত হচ্ছে। ট্রেন্ড গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
দ্রুত এবং কম খরচে ট্রানজেকশনের জন্য লেয়ার-২ সমাধান। {যেমন- পলিগন
(Polygon)}।
প্রুফ অফ স্টেকের মতো গ্রীন কনসেনসাস মডেল।
ইন্টেলিজেন্ট অটোমেশনের জন্য AI এবং IoT-এর সাথে একত্রিকরণ।
লজিস্টিকস, ব্যাংকিং এবং ডেটা সুরক্ষায় এন্টারপ্রাইজ গ্রহণ।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url