বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা-বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনী

বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা এবং বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনী

বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা-বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনী

বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা


অনুচ্ছেদ বিষয়বস্তু ওবর্ণনা
প্রজাতন্ত্র
বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত হইবে।

প্রজাতন্ত্র (বাংলাদেশের) রাষ্ট্রীয় সীমানা।
২ক
রাষ্ট্রধর্ম
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সম অধিকার নিশ্চিত করিবেন।
রাষ্ট্রভাষা
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা।
জাতীয় সংগীত, পতাকা ও প্রতীক
(৩) প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক (National Emblem) হইতেছে উভয় পার্শ্বে ধান্য শীর্ষ বেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা, তাহার শীর্ষদেশে পাট গাছের তিনটি পরস্পর সংযুক্তপত্র, তাহার উভয় পার্শ্বে দুইটি করিয়া তারকা।
৪ক
জাতির পিতার প্রতিকৃতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশন সমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।
বাংলাদেশের রাজধানী
(১) প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হবে ঢাকা।
নাগরিকত্ব
(২) বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।
সংবিধানের প্রাধান্য
(১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ,........
মূলনীতি সমূহ
(১) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা -এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতি সমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।
জাতীয়তাবাদ
ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তা বিশিষ্ট যে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।
১০ সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি।
১১
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।
১২ ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা।
১৫ মৌলিক চাহিদা বা মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা।
১৭ অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা।
১৮ক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।
২২
নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন।
২৩ক
উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি
রাষ্ট্রবিন্য উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
২৭
আইনের দৃষ্টিতে সমতা
সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
৩০
বিদেশি খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ
রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমদন ব্যতীত কোন নাগরিক কোন বিদেশি রাষ্ট্রের নিকট হইতে কোন খেতাব, সম্মান, পুরস্কার বা ভূষণ গ্রহণ করিবেন না।
৩২ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ।
৩৬, ৩৭, ৩৮ চলাফেরার স্বাধীনতা। সমাবেশের স্বাধীনতা। সংগঠনের স্বাধীনতা।
৩৯
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা
(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা।
(২) ক- বাক প্রভাব প্রকাশের স্বাধীনতা অধিকারের এবং
খ- সংবাদ ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।
৪১ ধর্মীয় স্বাধীনতা।
৪২
সম্পত্তির অধিকার
(১) আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিলি-ব্যবস্থা করিবার অধিকার থাকিবে এবং আইনের কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, বা দখল করা যাইবে না।
৪৮
রাষ্ট্রপতি
(১) বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।
(৩) এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেনঃ
........................
(৪) কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না যদি তিনি-
(ক) ৩৫ বৎসরের কম বয়স্ক হন; অথবা
(খ) সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য না হন; অথবা
(গ) কখনও এই সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পথ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন।
৪৯
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার
কোন আদালত, ট্রাইবোনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে-কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর পরিবার এবং যে-কোন দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস পরিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।
৫০
রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ
(১) রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে ৫ বৎসরের মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:
(২) একাধিকক্রমে হউক না হউক-তুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোন ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না
(৩) স্পিকারের উদ্দেশ্যে সাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
৫১
রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
(১) রাষ্ট্রপতি তাহার দায়িত্ব পালন করিতে গিয়া কিংবা অনুরূপ বিবেচনায় কোন কার্য করিয়া থাকিলে বা না করিয়া থাকিলে সেই জন্য তাহাকে কোন আদালতে জবাবদিহি করিতে হইবে না, .......।
৫২
রাষ্ট্রপতির অভিশংসন (Impeachment of the President)
(১) এই সংবিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে রাষ্ট্রপতি কে অভিশংসিত করা যাইতে পারিবে:.........
(৪) অভিযোগ বিবেচনার পর মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অভিযোগ যথার্থ বলিয়া ঘোষণা করিয়া সংসদ কোন প্রস্তাব গ্রহণ করিলে প্রস্তাব গৃহীত হইবার তারিখে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইবে।
৭৭
ন্যায়পাল Ombudsman)
(১) সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালের পদ-প্রতিষ্ঠার জন্য বিধান করিতে পারিবেন।
(২) সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালকে কোন মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের যেকোনো কার্য সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা সহ যেরূপ ক্ষমতা কিংবা যে রোগ দায়িত্ব প্রদান করিবেন, ন্যায়পাল সেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন করিবেন।
৮১
অর্থবিল
(১) এই ভাগে “অর্থবিল” ল বলিতে কেবল নিম্নলিখিত বিষয় সমূহের সকল বা যেকোনো একটি সম্পর্কিত বিধানাবলী-সংবলিত বিল বুঝাইবেঃ
(ক) কোন কর আরোপ, নিয়ন্ত্রণ, রদবদল, মওকুফ বা রহিত করন;
৯৩
অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা (Ordinance Making Power)
(১) [ সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় অথবা উহার অধিবেশন কাল ব্যতীত] কোন সময় রাষ্ট্রপতির নিকট আসুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে বলিয়া সন্তোষজনক ভাবে প্রতিমান হইলে তিনি উক্ত পরিস্থিতিতে যে রূপ প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করিবেন, সেই রূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিতে পারিবেন এবং জারি হইবার সময় হইতে অনুরূপভাবে প্রণীত অধ্যাদেশ সংসদের আইনের নেয় ক্ষমতা সম্পন্ন হইবে, ......
(২) কোন অধ্যাদেশ জারি হইবার পর অনুষ্ঠিত সংসদের প্রথম বৈঠকে তাহা উপস্থাপিত হইবে এবং ইত:পূর্বে বাতিল হইয়া না থাকিলে অধ্যাদেশটি অনুরূপভাবে উপস্থাপনের পর ৩০ দিন অতিবাহিত হইলে কিংবা অনুরূপ উত্তীর্ণ বইবার পূর্বে তাহা অননুমোদন করিয়া সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হইলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা লোক পাইবে।
১১৭ প্রশাসনিক ট্রাইবুনালসমূহ।
১১৮
নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা
(১) [ প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া]
বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন।
(৩) কোন নির্বাচন কমিশনারের পদের মেয়াদ তাহার কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসরকাল হইবে।
১৩৭
সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠা
আইনের দ্বারা বাংলাদেশের জন্য এক বা একাধিক সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার বিধান করা যাইবে এবং একজন সভাপতিকে ও আইনের দ্বারা যে রূপ নির্বাচিত হইবে, সেই রূপ অন্যান্য সদস্যকে লইয়া প্রত্যেক কমিশন গঠিত হইবে।
১৪১ক
জরুরী-অবস্থা-ঘোষণা
(১) রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনক ভাবে প্রতিমান হয় যে, এমন জরুরী-অবস্থা বিদ্যমান রহিয়াছে, যাহাতে যুদ্ধ বা বহিরা আক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের দ্বারা বাংলাদেশ বা উহার যে কোন অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন, তাহা হইলে তিনি [ অনধিক ১২০ দিনের জন্য] জরুরী-অবস্থা ঘোষণা করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী প্রতি-স্বাক্ষর প্রয়োজন হইবে।
১৪১খ
জরুরী-অবস্থার সময় সংসদের কতিপয় অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ
এই সংবিধানের তৃতীয় ভাগের অন্তর্গত বিধানাবলীর কারণে রাষ্ট্র যে আইন প্রণয়ন করিতে ও নির্বাহী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে সক্ষম নহেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার কার্যকরতার-কালে এই সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ নং অনুচ্ছেদের সমূহের কোন কিছুই সেই রূপ আইন-প্রণয়ন ও নির্বাহী ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করিবে না; .......
১৪১গ জরুরী-অবস্থার সময় মৌলিক অধিকার সমূহ স্থগিতকরণ।
১৪২
সংবিধানে বিধান সংশোধনের ক্ষমতা
(১) এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও-
(ক) সংসদের আইন দ্বারা এই সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিত করনের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে,
(অ) অনুরূপ সংশোধনের জন্য আনিত কোন বিলের সম্পূর্ণই শিরোনামায় এই সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্ট রূপে উল্লেখ না থাকলে গ্রহণ করা যাইবে না;
(আ) সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা অনূন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিলে সম্মতি দানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না।
(খ) উপরিউক্ত উপায়ে কোন বিল গৃহীত হইবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট তাহা উপস্থাপিত হইলে উপস্থাপনের ৭ দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতি দান করিবেন এবং তিনি তাহা করিতে অসমর্থ্য হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতি দান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত কোন সংশোধনের ক্ষেত্রে ২৬ অনুচ্ছেদের কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।

বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনী

সংশোধনী সাল মূল বিষয়বস্তু
প্রথম
১৯৭৩
যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের বিধান।
দ্বিতীয়
১৯৭৩
জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান ও নিবর্তনমূলক আইন।
তৃতীয়
১৯৭৪
বেরুবাড়ী ছিট মহল কে ভারতের কাছে হস্তান্তর।
চতুর্থ
১৯৭৫ রাষ্ট্রপতি শাসিত ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাদ।
পঞ্চম
১৯৭৯ বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বিসমিল্লাহ সংযোজন।
ষষ্ঠ
১৯৮১ উপ-রাষ্ট্রপতির পথ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান।
সপ্তম
১৯৮৬ ২৪ মার্চ, ১৯৮২ থেকে ৯ নভেম্বর, ১৯৮৬ পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বৈধতা দান।
অষ্টম
১৯৮৮ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা।
নবম
১৯৮৯ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মেয়াদ ৫ বছর এবং দুইবার করার বিধান।
দশম
১৯৯০ সংসদে মহিলাদের ৩০ টি আসন ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ।
একাদশ
১৯৯১ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়া।
দ্বাদশ
১৯৯১ সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন।
ত্রয়োদশ
১৯৯৬ বাঁধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।
চতুর্দশ
২০০৪ ৪৫ টি নারী আসন সংরক্ষণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি সংরক্ষ, বিচারপতি, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ এবং সিএজির বয়সসীমা বৃদ্ধি।
পঞ্চদশ
২০১১
(২৫ জুন)
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ, ৭২ সংবিধানের চার মূলনীতি পুনর্বহাল, ৭ মার্চের ভাষণ সংযুক্তি, সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৫০ এ উন্নীতকরণ।
ষোড়শ
১৭ সেপ্টেম্বর,
২০০৪
(সংসদে পাস)
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিসংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা।
সপ্তদশ ২০১৮ সালের ৮ জুলাই সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ টি যা আরও ২৫ বছর বহাল রাখার বিধান আনা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url