বাংলার ইতিহাস-বাংলার প্রাচীন ইতিহাস

বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে প্রায় প্রতিটি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে। এমনকি চাকরির ভাইভা পরীক্ষাতেও বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
বাংলার ইতিহাস-বাংলার প্রাচীন ইতিহাস
তাই বাংলার প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে চাকরি প্রার্থীদের ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।

আলোচ্য বিষয়ঃ

বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ

সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীকে প্রাক-আর্য বা অনার্য জনগোষ্ঠী এবং আর্য জনগোষ্ঠী এই দুইভাগে ভাগ করা হয়। আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী মূলত চারটি শাখায় বিভক্ত ছিল। শাখা চারটি হলো-
(১) নেগ্রিটো
(২) অস্ট্রিক
(৩) দ্রাবিড়
(৪) ভোটচীনীয়
আর্যদের আদিনিবাস ছিল ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে বর্তমান মধ্য এশিয়া-ইরানে। ভারতবর্ষে আর্যদের আগমন ঘটেছিল খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দে। সম্ভবত খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে বা তার কিছু আগে আর্যরা বাংলায় আসতে শুরু করে। আর্যরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম ছিল বেদ।

এক নজরে বাঙালি জাতির উৎপত্তি

বাংলার ইতিহাস-বাংলার প্রাচীন ইতিহাস
➤ সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠী বিভক্ত দুই ভাগে (প্রাক-আর্থ বা অনার্থ ও আর্থ নয়খোরী)।
➤ আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী মূলত বিভক্ত- চার ভাগে (নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও ভোটটানীয়)।
➤ আর্থদের আগমনের পূর্বে এদেশে বসবাস ছিল অনার্যদের।
➤ নেত্রিটোদের উৎখাত করে অস্ট্রিক জাতি।
➤ বাংলাদেশের প্রাচীন জাতি দ্রাবিড়।
➤ বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক জাতি থেকে। বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক, ➤ দ্রাবিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে।
➤ সর্বপ্রথম দেশবাচক শব্দ 'বাংলা' যে গ্রন্থে ব্যবহৃত হয় আইন-ই- আকবরী' গ্রন্থে।
➤ বৈদিক যুগ বলে আর্য যুগকে।
➤ আর্থ সংস্কৃতি সমধিক বিকাশ লাভ করে-পাল শাসনামলে।
➤ আর্যদের আদি নিবাস-ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে কিরঘিজ তৃণভূমি অঞ্চলে এবং বর্তমান মধ্য এশিয়া- ইরান।
➤ আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ।
➤ বাংলার আদিম অধিবাসী হলো-অনার্যভাষী শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চঞ্চল প্রকৃতি সম্প্রদায়।
➤ আর্যদের প্রভাব স্থাপনের পরে বঙ্গদেশে যে জাতির আগমন হয়
➤ মঙ্গোলীয় বা ভোটচীনীয় জাতির।
➤ বর্তমান বাঙালি জাতির পরিচয়- সংকর জাতি হিসেবে।
➤ আর্যগণ প্রথম উপমহাদেশে আগমন করে সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ বা ১৫০০ অব্দে।
➤ আর্যজাতি ভারতে প্রবেশ করার পর প্রথমে বসতি স্থাপন করে সিছু বিধৌত অঞ্চলে।

বাংলা শব্দের উৎপত্তি

চীন শব্দ 'অং' (যার অর্থ জলাভূমি) পরিবর্তিত হয়ে 'বং' শব্দে রূপান্তরিত হয়। ঐতিহাসিক আবুল ফজলের মতে, বং → বংগ + আল (আইল) → বংগাল।
নীহাররঞ্জন রায় তাঁর ‘বাঙালির ইতিহাস’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত নূহ (আ:) এর সময়ের মহাপ্লাবনের পর বেঁচে যাওয়া চল্লিশ জোড়া নর- নারীকে বংশবিস্তার ও বসতি স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়েছিল। নূহ (আ:) এর পৌত্র ‘হিন্দ’ এর নাম অনুসারে ‘হিন্দুস্তান’ এবং প্রপৌত্র ‘বঙ্গ’ এর নামানুসারে ‘বঙ্গদেশ’ নামকরণ করা হয়েছিল। ‘বঙ্গ’ এর বংশধরগণই ‘বাঙ্গালি’ বা বাঙালি নামে পরিচিত)।
ঐতিহাসিক গোলাম হোসেন সলিম তার ‘রিয়াজুস সালাতীন’ গ্রন্থে বলেছেন, বংগ (জনৈক ব্যক্তি) +  আহাল (সন্তান) → বংগাহাল → বংগাল।
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার নামকরণ করেন মূলক-ই-বাঙ্গালাহ।
বাঙ্গালাহ → বাংলা, মূলক → দেশ
মূলক-ই-বাঙ্গালাহ → বাংলাদেশ

বাংলার প্রাচীন জনপদ

প্রাচীনকালে বাংলাদেশ কোনো একক রাষ্ট্র ছিল না। এটি তখন কতকগুলো অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। অঞ্চলগুলো জনপদ নামে পরিচিত ছিল। বাংলা নামে একটি অখণ্ড দেশের জন্ম একবারে হয়নি। এর যাত্রা শুরু হয় জনপদগুলোর মধ্য দিয়ে। গৌড়, বঙ্গ, পুঞ্জ, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্র এরকম প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায়। জনপদগুলোর মধ্য প্রাচীনতম হলো পুঞ্জ। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত কতিপয় প্রাচীন জনপদ নিচে উল্লেখ করা হলো-
প্রাচীন জনপদ বর্তমান অঞ্চল
গৌড় উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, আধুনিক মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের কিছু অংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
বঙ্গ ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি, ময়মনসিংহ এর পশ্চিমাঞ্চল, ঢাকা, কুষ্টিয়া, বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ।
পুন্ড্র বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী ও রংপুর জেলা।
হরিকেল সিলেট (শ্রীহট্ট), চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম।
সমতট কুমিল্লা ও নোয়াখালী।
বরেন্দ্র বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার অনেক অঞ্চল এবং পাবনা জেলা।
তাম্রলিপ্তি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলা।
চন্দ্রদ্বীপ বৃহত্তর বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও খুলনা।
উত্তর রাঢ় মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমাংশ, সমগ্র বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা।
দক্ষিণ রাঢ় বর্ধমানের দক্ষিণাংশ, হুগলির বহুলাংশ এবং হাওড়া জেলা।
বাংলা বা বাঙলা সাধারণত খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী।
উল্লেখ্য, গৌড়, বঙ্গ, পুঞ্জ, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্র এরকম প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায়।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কণিকা

➤ বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ পুঞ্জ।
➤ 'বঙ্গ' নামে দেশের উল্লেখ পাওয়া যায়- খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার বছর আগে।
➤ সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' দেশের নাম পাওয়া যায়- ঋগ্বেদের' ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে।
➤ সুপ্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমা উল্লেখ আছে- ড. নীহাররঞ্জন রায়ের 'বাঙালীর ইতিহাস' গ্রন্থে।
➤ বাংলার আদি জনপদগুলোর জনগোষ্ঠীর ভাষা ছিল- অস্ট্রিক।
➤ বরেন্দ্র বলতে বোঝায়- উত্তরবঙ্গকে (বগুড়া, রাজশাহী জেলার বৃহৎ অংশ)।
➤ প্রাচীনকালে 'গঙ্গারিডই' নামে শক্তিশালী রাজ্যটি ছিল- অনুমান করা হয় গঙ্গা নদীর তীরে।
➤ রাজা শশাঙ্কের শাসনামলের পরে 'বঙ্গদেশ' যে কয়টি জনপদে বিভক্ত ছিল- ৩টি। পুঞ্জ, গৌড় ও বঙ্গ।
➤ বঙ্গ ও গৌড় নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য হয়- যষ্ঠ শতকে।
➤ হিউয়েন সাঙ এর বিবরণ অনুসারে কামরূপে যে জনপদ ছিল- সমতট।
➤ রাঢ়দের রাজধানী ছিল- কোটিবর্ষ।
➤ প্রাচীন যেসব গ্রন্থে বঙ্গ দেশের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়- ঋগ্বেদের 'ঐতরেয় আরণ্যক'-এর শ্লোকে (২-১-১), রামায়ণ ও মহাভারতে, পতঞ্জলির ভাষ্যে, ওভেদী, টলেমির লেখায়, কালিদাসের 'রঘুবংশে' এবং আবুল ফজলের 'আইন-ই আকবরী' গ্রন্থে।
➤ সমতট রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল- কুমিল্লা জেলার বড়কামতায়।
➤ প্রাচীন রাঢ় জনপদ অবস্থিত- বীরভূম ও বর্ধমানে।
➤ প্রাচীনকালে 'সমতট' বলতে বোঝায়- কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলকে।
➤ বর্তমান বৃহৎ বরিশাল ও ফরিদপুর এলাকা প্রাচীনকালে যে জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল-বঙ্গ।
➤ সিলেট প্রাচীন যে জনপদের অন্তর্গত- হরিকেল।
➤ প্রাচীন বাংলায় বাংলাদেশের পূর্বাংশে অবস্থিত ছিল- হরিকেল।

বাংলার প্রাচীন শাসন

মৌর্য যুগ

উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে বৌদ্ধ ধর্ম এ সময় বিশ্ব ধর্মে পরিণত হয়। প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম সর্বভারতীয় ঐক্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। সম্রাট অশোক তার সাম্রাজ্যকে ৫ ভাগে বিভক্ত করেন।
➤ মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
➤ প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম সর্বভারতীয় সম্রাট- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
➤ সর্বশেষ মৌর্য সম্রাট- বৃহদ্রথ।
➤ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- চাণক্য, যার ছদ্মনাম কৌটিল্য।
➤ রাষ্ট্রশাসন ও কূটনীতি কৌশলের সারসংক্ষেপ 'অর্থশাস্ত্র'-এর রচয়িতা- প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ ও চন্দ্রগুপ্ত ➤মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্য।
➤ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজধানী ছিল- পাটলিপুত্র।
➤ মৌর্যযুগের গুপ্তচরকে ডাকা হতো- 'সঞ্চারা' নামে।
➤ মহারাজ অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে- কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে।
➤ বৌদ্ধধর্মের কনস্ট্যানটাইন বলা হয়- অশোককে।
➤ মেগাস্থিনিস ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের- রাজসভার গ্রিক দূত।

গুপ্ত যুগ

গুরুযুগকে প্রাচীন ভারতের স্বর্ণযুগ বলা হয়। এ যুগে সাহিত্য, বিজ্ঞান, ও শিল্পের খুবই উন্নতি হয়। গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীগুপ্ত। কিন্তু তিনি সদ্রোজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি। চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। হর আমলেও বাংলার রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র।

গুপ্ত যুগের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ

➤গুপ্তদের আদিবাস- উত্তর প্রদেশ।
➤প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে স্বর্ণযুগ- গুপ্তযুগ।
➤গুপ্তযুগের প্রতিষ্ঠাতা- ১ম চন্দ্রগুপ্ত, ৩২০ সালে।
➤১ম চন্দ্রগুপ্তের রাজধানী পাটলিপুত্র।
➤গুপ্তযুগের শ্রেষ্ঠ শাসক- সমুদ্রগুপ্ত।

সমুদ্রগুপ্ত

➤গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক- সমুদ্রগুপ্ত।
➤প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন- সমুদ্রগুপ্ত।
➤রাজত্ব করেন- ৪০ বছর।
➤তার রাজধানী পাটলিপুত্র।
➤তার সভাকবি ছিলেন- হরিসেন।
➤নাগশক্তিতে পরাজিত করেন- সমুদ্রগুপ্ত।
➤তার প্রচলিত মুদ্রার নাম- অশ্বমেধ পরিক্রমা।
➤সমুদ্রগুপ্তকে কবিরাজ বলা হয়- কবিতা রচনার জন্য।
➤কালিদাসের রঘুবংশের কাব্যের নায়ক ছিলেন - সমুদ্রগুপ্ত।

২য় চন্দ্রগুপ্ত

➤উপাধি- বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর।
➤ফা-হিয়েন ভ্রমন করেন তার শাসনামলে।
➤কালিদাস ছিলেন তার সময়ের বিখ্যাত কবি।
➤কালিদাসের বিখ্যাত গ্রন্থ- মেঘদূত।
➤বরাহমিহিরের গ্রন্থ- বৃহৎ সংহিতা।
➤তার সময়ে ৯ জন গুণী ব্যক্তিকে বলা হত- নবরত্ন।
➤ গুপ্ত বংশের পতন হয়- হুনদের হাতে।

তথ্য কণিকা

■ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা- প্রথম চন্দ্রগুপ্ত (৩২০ খ্রিস্টাব্দে)।
■ গুপ্ত বংশের মধ্যে স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা ছিলেন- প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।
■ গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত।
■ 'ভারতের নেপোলিয়ন' হিসেবে অভিহিত- সমুদ্রগুপ্ত।
■ চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আগমন করেন- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে।
■ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল- বিক্রমাদিত্য ও সিংহ বিক্রম।
■ গুপ্ত সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়- হুন জাতির আক্রমণে।

গুপ্ত পরবর্তী বাংলা

গৌড় রাজ্য ও রাজা শশাঙ্কঃ

গৌড় রাজ্যের প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম রাজা হলেন শশাঙ্ক। শশাঙ্ক প্রথম বাঙালি রাজা। তিনি হলেন প্রাচীন বাংলার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নরপতি। সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে ৬০৬ সালে রাজা শশাঙ্ক গৌড় রাজ্য শাসন করেন। তিনি ছিলেন গৌড়ের স্বাধীন সুলতান। তার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদের নিকটবর্তী 'কর্ণসুবর্ণ'।
➤বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা- শশাঙ্ক।
➤হিউয়েন সাং বৌদ্ধধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন- শশাঙ্ককে।
➤চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাং ভারতে আসেন- হর্ষবর্ধনের আমলে।
➤গৌড়ের স্বাধীন নরপতি ছিলেন- শশাঙ্ক।
➤শশাঙ্কের রাজধানীর নাম ছিল- কর্ণসুবর্ণ।
➤শশাঙ্কের উপাধি ছিল- মহাসামন্ত।

পুষ্যভূতি রাজ্যঃ

৬০৬ সালে রাজ্যবর্ধন শশাঙ্কের হাতে নিহত হলে হর্ষবর্ধন সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর সিংহাসনে আরোহণকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি 'হর্ষাব্দ' নামক সাল গণনার প্রচলন করেন। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তাঁর রাজত্বকালে ৬৩০-৬৪৪ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষ সফর করেন এবং তাঁর শাসনের বিভিন্ন দিক লিপিবদ্ধ করেন। হর্ষবর্ধনের দরবারে তিনি ৮ বছর কাটান। কনৌজ ছিল এ সময়ের রাজধানী। তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় বলে জানিয়েছেন। এটাকে বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। হর্ষবর্ধন ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
■ হর্ষাব্দ নামক সাল গণনা শুরু করেন। হর্ষবর্ধন।
■ হর্ষবর্ধনের আগে ক্ষমতায় ছিল- রাজ্যবর্ধন।
■ হর্ষবর্ধন প্রথম জীবনে ছিলেন- হিন্দু স্বমালনী, পরবর্তীতে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।
■ হর্ষবর্ধনের আমলে ভারতবর্ষ সফর করেন- চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং।

মাৎস্যন্যায়ঃ

শশাঙ্কের মৃত্যুর পরবর্তী একশত বছর অর্থাৎ ৭ম-৮ম শতকের অরাজকতা ও আইনশৃঙ্খলাহীন রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা হলো মাৎস্যন্যায়। এ সময় বড় কোন সাম্রাজ্য বা শক্তিশালী রাজা ছিল না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধে লিপ্ত থাকতো। বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে গ্রাস করে, সবল রাজ্য এভাবে দুর্বল রাজ্যকে গ্রাস করত বলে এ অবস্থাকে 'মাৎস্যন্যায়' বলা হয়। এই শোচনীয় অবস্থা দূর করার জন্য তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তি গোপালকে নেতা নির্বাচন করেন।
■ পাল তন্ত্রে শাসনে শশাঙ্কের পর অরাজকতাপূর্ণ সময়কে (৭ম-৮ম শতক) বলে- মাৎস্যন্যায়।
■ পুকুরে বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট মাছ ধরে খেয়ে ফেলার পরিস্থিতিকে বলে- মাৎস্যন্যায়।
■ ৭ম-৮ম শতকে বাংলার সবল অধিপতিরা গ্রাস করেছিল- ছোটন অঞ্চলগুলোকে।

পাল বংশ

৭৫০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থান এর মধ্য দিয়ে বাংলার প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন শুরু হয় পাল বংশের রাজত্বকালে। বাংলার প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ হলো পাল বংশ। পাল বংশের রাজারা একটানা চারশত বছর এদেশ শাসন করেছিলেন। পাল বংশের রাজারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এসময় বাংলার রাজধানী ছিল পাহাড়পুর/সোমপুর।

গোপাল পাল (৭৫০-৭৮১)

গোপাল পাল ছিলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন উত্তরবঙ্গের একজন শক্তিশালী সামস্ত নেতা। তিনি বাংলায় প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন শুরু করেন। তিনি বিহারের উদন্তপুর বিহার প্রতিষ্ঠা করেন।

ধর্মপাল (৭৮১-৮২১)

ধর্মপাল ছিলেন পাল বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বা নরপতি। পাহাড়পুরের বিখ্যাত বৌদ্ধবিহার সোমপুর বিহার তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।

দ্বিতীয় মহীপাল (১০৭-20)

তার শাসনামলে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলায় প্রথম সফল বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়। এ বিদ্রোহ কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সে সময় জেলে, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষকে কৈবর্ত বলা হত। কৈবর্ত বিদ্রোহকে অনেক সময় বরেন্দ্র বিদ্রোহ বা সামন্ত বিদ্রোহও বলা হয়। রাজা দ্বিতীয় মহীপাল কৈবর্ত বাহিনীকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজে নিহত হন।

রামপাল (১০৮২-১১২৪)

রামপালের মন্ত্রী ও সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী বিখ্যাত 'রামচরিত কাব্য' রচনা করেন। তিনি ছিলেন পাল বংশের শেষ রাজা।
➤ পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় রাজত্ব করেছেন- প্রায় চার'শ বছর।
➤ পাল রাজারা যে ধর্মাবলম্বী ছিলেন- বৌদ্ধ।
➤ পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল।
➤ পাল বংশের শেষ রাজা-রামপাল।
➤ নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত 'সোমপুর বিহারের' প্রতিষ্ঠাতা-রাজা ধর্মপাল।

পাল বংশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গঃ

➤ প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল (৭৫০-১১২৪)
➤ শ্রেষ্ঠ রাজা-ধর্মপাল
➤ সর্বশেষ রাজা- মদনপাল (বাংলাপিডিয়া)
➤ বংশানুক্রমিক শাসন শুরু করে- পালরা
➤ বাংলার দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ- পাল বংশ
➤ পালরা শাসন করে- প্রায় ৪০০ বছর (৭৫০-১১৬১)
➤ পাল রাজারা ছিলেন- বৌদ্ধ
➤ চর্যাপদের সৃষ্টি হয়- পালদের সময়
➤ রামপালের রাজত্ব সম্পর্কে জানা যায়- সন্ধ্যাকরনন্দীর গন্থে সন্ধ্যাকরনন্দীর গ্রন্থ- রামচরিত
➤ নওগাঁর সোমপুর মহাবিহার নির্মাণ করেন- ধর্মপাল।
➤ রামসাগর দিমি অবস্থিত- দিনাজপুর
➤ রামসাগর দিঘি নির্মাণ করেন- রামপাল।

সেন বংশ

সেন রাজাদের পূর্বপুরুষগণ ছিলেন দক্ষিণাত্যের কর্ণাটক অঞ্চলের অধিবাসী। বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন। কিন্তু তিনি রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করায় সেন বংশের প্রথম রাজার মর্যাদা দেওয়া হয় তার পুত্র হেমন্ত সেনকে।

হেমন্ত সেন

সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেন রাঢ় অঞ্চলে সেন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন সেন বংশের প্রথম রাজা। নদীয়া ছিল তার রাজধানী।

বিজয় সেন (১০৯৮-১১৬০)

হেমন্ত সেনের পুত্র বিজয় সেন (১০৯৮-১১৬০) রাজ্যকে সাম্রাজ্যে পরিণত করেন। বিজয় সেন বাংলাকে সর্বপ্রথম একক শাসনের অধীনে আনয়ন করেন। তিনি ত্রিবেণীর নিকট স্বীয় নামানুসারে বিজয়পুর' নামে রাজধানী স্থাপন করেন। তাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার রামপাল স্থানে)। সেন বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন বিজয় সেন।

বল্লাল সেন

বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল সেন ছিলেন বিদ্বান ও বিদ্যোৎসাহী। তিনি 'দানসাগর' নামক স্মৃতিময় গ্রন্থ এবং 'অদ্ভূত সাগর' নামক জ্যোতিষ গ্রন্থ রচনা করেন। বাংলায় ব্রাহ্মণ, বৈশ্য, কায়স্থ প্রভৃতি জাতির মধ্যে তিনি কৌলিন্য প্রথার প্রচলন করেন।

লক্ষ্মণ সেন

সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলার শেষ হিন্দু রাজা। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজী লক্ষ্মণ সেনকে অতর্কিত আক্রমণ করলে তিনি পূর্ববঙ্গে পলায়ন করেন। এখানে আরো কিছুকাল রাজত্বের পর ১২০৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
■ সেন বংশের প্রথম রাজা বা প্রতিষ্ঠাতা- হেমন্ত সেন।
■ সেন বংশের সর্বপ্রথম সার্বভৌম বা স্বাধীন রাজা- বিজয় সেন।
■ সেন বংশ ও বাংলার শেষ হিন্দু রাজা- লক্ষ্মণ সেন।
■ লক্ষ্মণ সেন ছিলেন- বৈষ্ণব ধর্মালম্বী।

সেন বংশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ (১০৫০)

➤ প্রতিষ্ঠাতা- হেমন্ত সেন
➤ শ্রেষ্ঠ রাজা- বিজয় সেন
➤ শেষ রাজা- লক্ষণ সেন
➤ শেষ বাঙালি হিন্দু রাজা- লক্ষণ সেন
➤ লক্ষ্মণ সেনের উপাধি- গৌড়েশ্বর
➤ লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী- নদীয়া
➤ কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক- বল্লাল সেন।
➤ দানসাগর ও অদ্ভুদ সাগর রচনা করেন- বল্লাল সেন
➤ পরমেশ্বর, পরম ভট্টরক, মহারাজাধিরাজ উপাধি ছিল- বিজয় সেনের
➤ সেন বংশের পতন ঘটে- ১২০৪ সালে
➤ লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করেন- বখতিয়ার খিলজি
➤ লক্ষ্মণ সেনের পতন ঘটে ও বাংলায় ইসলামের আবির্ভাব ঘটে- ১২০৪ সালে ।
➤ সেন বংশের শেষ শাসনকর্তা- কেশব সেন।

বিভিন্ন শাসনামলে বাংলার রাজধানী

■ মৌর্য যুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল শুক্রনগর।
■ গৌড়ের রাজধানীর নাম কর্ণসুবর্ণ।
শাসনামল রাজধানী
প্রাচীন আমল সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ খ্রি:), গৌড় (১৪৫০-১৫৬৫খ্রি:)
মুঘল আমল সোনারগাঁও, ঢাকা
মৌর্য ও গুপ্ত বংশ পাটলিপুত্র/গৌড়
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ একডালা
গৌড় রাজ্যের/শশাঙ্কের কর্ণসুবর্ণ
খড়গ কুমিল্লার কর্মান্তবসাক
হর্ষবর্ধন কনৌজ
মৌর্যযুগ/পুন্ড্র জনপদ পুন্ড্রনগর (বাংলার প্রাদেশিক)
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত পাটলিপুত্র
ঈসা খান সোনারগাঁও
দেব রাজবংশ দেবপর্বত
বর্মদেব বিক্রমপুর
বুগরা খান লক্ষণাবতী
সেন আমল/লক্ষ্মণ সেন নদীয়া বা নবদ্বীপ
গুপ্ত রাজবংশ বিদিশা

➤ দাহির ছিলেন- সিন্ধু ও মুলতানের রাজা।
➤ যে মুসলিম সেনাপতি স্পেন জয় করেন- তারিক।
➤ আরবদের আক্রমণের সময় সিন্ধু দেশের রাজা ছিলেন- দাহির।
➤ প্রথম মুসলিম সিন্ধু বিজেতা ছিলেন- মুহাম্মদ-বিন-কাসিম।
➤ সুলতান মাহমুদের রাজসভার শ্রেষ্ঠতম দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ ছিলেন- আল বিরুনী।
➤ প্রাচ্যের হোমার বলা হয়- মহাকবি ফেরদৌসীকে।
➤ ভারতে সর্বপ্রথম তুর্কী সাম্রাজ্য বিস্তার করেন- মুহাম্মদ ঘুরী।
➤ প্রথম তরাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১১৯১ সালে, এ যুদ্ধে মুহাম্মদ ঘুরী পৃথ্বীরাজের কাছে পরাজিত হন।
➤ বাংলার মুসলমান রাজ্য সর্বাধিক বিস্তার লাভ করে- সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের আমলে।

গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

বিসিএস, ব্যাংক-বিমা, প্রাইমারিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় MCQ প্রশ্ন এসে থাকে। এখানে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো।
০১। বাংলার প্রাচীন জনপদ কোনটি? (৪৩তম বিসিএস)
ক) পুহ
খ) তাম্রলিপ্ত
গ) গৌড়
ঘ) হরিকেল
০২। নির্বাণ' ধারণাটি কোন ধর্মবিশ্বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট? [৪৩তম বিসিএস)
ক) হিন্দুধর্ম
খ) বৌদ্ধধর্ম
গ) খ্রিস্টধর্ম
ঘ) ইহুদীধর্ম
০৩। আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম কী ছিল? [৪৩তম বিসিএস)
ক) মহাভারত
খ) রামায়ণ
গ) গীতা
ঘ) বেদ
০৪। প্রাচীন বাংলায় 'সমতট' বর্তমান কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। [৪৩তম বিসিএস।
ক) ঢাকা ও কুমিল্লা
খ) ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা
গ) কুমিল্লা ও নোয়াখালী
ঘ) ময়মনসিংহ ও জামালপুর
০৫। ‘মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে? [৪১তম বিসিএস।
ক) ৬ম-৬ষ্ঠ শতক
খ) ৬ষ্ঠ-৭ম শতক
গ) ৭ম-৮ম শতক
ঘ) ৮ম-৯ম শতক
০৬। বর্তমান বৃহত্তর ঢাকা জেলা প্রাচীন কালে কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
ক) সমতট
খ) পুন্ড্র
গ) বঙ্গ
ঘ) হরিকেল
০৭। রাজশাহীর উত্তরাংশ, বগুড়ার পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ বা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গ নিয়ে গঠিত-
ক) পলল গঠিত সমভূমি
খ) বরেন্দ্রভূমি
গ) উত্তরবঙ্গ
ঘ) মহাস্থানগড়
০৮। বাংলাদেশের একটি প্রাচীন জনপদের নাম-
ক) রাঢ়
খ) চট্টলা
গ) শ্রীহট্ট
ঘ) কোনোটিই নয়
০৯। মেগাস্থিনিস কার রাজসভার গ্রিক দূত ছিলেন?
ক) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
খ) অশোক
গ) ধর্মপাল
ঘ) সমুদ্রগুপ্ত
১০। ‘অর্থশাস্ত্র’-এর রচয়িতা কে?
ক) কৌটিল্য
খ) বাণভট্ট
গ) আনন্দতট
ঘ) মেগাস্থিনিস
১১। কৌটিল্য কার নাম?
ক) প্রাচীন রাজনীতিবিদ
খ) প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ
গ) পন্ডিত
ঘ) রাজ কবি
১২। অশোক কোন বংশের সম্রাট ছিলেন?
ক) মৌর্য
খ) গুপ্ত
গ) পুষ্যভূতি
ঘ) কুশান
১৩। কোন যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণাম প্রত্যক্ষ করে মহারাজ অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
ক) হিদ্যাম্পিসের যুদ্ধ
খ) কলিঙ্গের যুদ্ধ
গ) মেবারের যুদ্ধ
ঘ) পানিপথের যুদ্ধ
১৪। বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন কাকে বলা হয়?
ক) অশোক
খ) দন্দ্রগুপ্ত
গ) মহাবীর
ঘ) গৌতম বুদ্ধ
১৫। চীন দেশের কোন ভ্রমণকারী গুপ্তযুগে বাংলাদেশে আগমন করেন?
ক) হিউয়েন সাঙ
খ) ফা হিয়েন
গ) আইসিং
ঘ) উপরের সবগুলোই
১৬। কোন যুগ প্রাচীন ভারতের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত?
ক) মৌর্যযুগ
খ) শুঙ্গযুগ
গ) কুষাণযুগ
ঘ) গুপ্তযুগ
১৭। কোনটি প্রাচীন নগরী নয়?
ক) কর্ণসুবর্ণ
খ) উজ্জয়নী
গ) বিশাখাপট্টম
ঘ) পাটলিপুত্র
১৮। পরিব্রাজক কে?
ক) পর্যটক
খ) পরিদর্শক
গ) পরিচালক
ঘ) কোনটিই নয়
১৯। চীনা পরিব্রাজক ফা হিয়েন কখন ভারতবর্ষে অবস্থান করেন?
ক) ২০১-২১০ খ্রিষ্টাব্দে
খ) ৪০১-৪১০ খ্রিষ্টাব্দে
খ) ৭০২-৭০৮ খ্রিষ্টাব্দে
ঘ) ৯০৫-৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে
২০। বাংলায় প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক কে?
ক) ই-সিং
খ) ফা হিয়েন
গ) হিউয়েন সাং
ঘ) জেন ডং
২১। প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) কুষ্টিয়া
গ) কুমিল্লা
খ) বগুড়া
ঘ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২২। প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোকে গৌড় নামে একত্রিত করেন-
ক) রাজা কণিষ্ক
খ) বিক্রমাদিত্য
গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
ঘ) রাজা শশাঙ্ক
২৩। প্রাচীন বাংলার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নরপতি কে?
ক) হর্ষবর্ধন
খ) শশাঙ্ক
গ) গোপাল
ঘ) লক্ষ্মণ সেন
২৪। হিউয়েন সাং বাংলায় এসেছিলেন যার আমলে-
ক) সম্রাট অশোক
খ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
গ) শশাঙ্ক
ঘ) হর্ষবর্ধন
২৫। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল-
ক) কর্ণসুবর্ণ
খ) গৌড়
গ) নদীয়া
ঘ) ঢাকা
২৬। বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা হলেন-
ক) ধর্মপাল
খ) গোপাল
গ) শশাঙ্ক
ঘ) দ্বিতীয় চন্দ্র গুপ্ত
২৭। বাংলার ইতিহাসের প্রথম প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায় কার শাসনামল থেকে?
ক) সম্রাট অশোক
খ) সম্রাট কনিষ্ক
গ) রাজা শশাঙ্ক
ঘ) রাজা গোপাল
২৮। বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা হলেন-
ক) ধর্মপাল
খ) গোপাল
গ) শশাঙ্ক
ঘ) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
২৯। সর্বপ্রথম বাঙালি রাজা কে?
ক) শশাঙ্ক
খ) হেমন্ত সেন
গ) বিজয় সেন
ঘ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
৩০। 'মাৎস্যন্যায়' ধারণাটি কিসের সাথে সম্পর্কিত?
ক) মাছবাজার
খ) ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা
গ) মাছ ধরার নৌকা
ঘ) আইন-শৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা
৩১। 'মাৎস্যন্যায়' বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
ক) ৫ম-৬ষ্ঠ শতক
খ) ৬ষ্ঠ-৭ম শতক
গ) ৭ম-৮ম শতক
ঘ) ৮ম-৯ম শতক
৩২। বাংলায় প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন শুরু করেন-
ক) শশাঙ্ক
খ) বখতিয়ার খলজি
গ) বিজয় সেন
ঘ) গোপাল
৩৩। বাংলার প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশের নাম কি?
ক) পাল বংশ
খ) সেন বংশ
গ) ভুইয়া বংশ
ঘ) শুরু বংশ
৩৪। পাল বংশের প্রথম রাজা কে?
ক) গোপাল
খ) দেবপাল
গ) মহীপাল
ঘ) রামপাল
৩৫। পাল বংশের শ্রেষ্ঠ নরপতি কে?
ক) গোপাল
খ) ধর্মপাল
গ) দেবপাল
ঘ) রামপাল
৩৬। পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারের নির্মাতা কে?
ক) রামপাল
খ) ধর্মপাল
গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
ঘ) আদিশূর
৩৭। পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি কি নামে পরিচিত ছিল?
ক) সোমপুর বিহার
খ) ধর্মপাল বিহার
গ) জগদ্দল বিহার
ঘ) শ্রীবিহার
৩৮। নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত বৌদ্ধ বিহার 'সোমপুর বিহার' কে নির্মাণ করেন?
ক) গোপাল
খ) ধর্মপাল
গ) দেবপাল
ঘ) মহীপাল
৩৯। বাংলার শেষ হিন্দু রাজা কে ছিলেন?
ক) বিজয় সেন
খ) লক্ষ্মণ সেন
গ) হেমন্ত সেন
ঘ) বল্লাল সেন
৪০। কোনটি লক্ষ্মণ সেনের আমলে বাংলার রাজধানী ছিল?
ক) ঢাকা
খ) নদীয়া
গ) রাজমহল
ঘ) দেবকোট
৪১। বাংলায় হিন্দুধর্মে কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন করেন কে?
ক) হেমন্ত সেন
খ) বিজয় সেন
গ) বল্লাল সেন
ঘ) লক্ষ্মণ সেন
৪২। বখতিয়ার খলজীর নিকট সেন বংশের কোন রাজা পরাজিত হন?
ক) সামন্ত সেন
খ) বিজয় সেন
গ) হেমন্ত সেন
ঘ) লক্ষ্মণ সেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url