ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি || ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ || ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি লাগে

বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে আমাদের প্রায় সবকিছুই অনলাইনে আছে বা পাওয়া যায়। অনলাইন শপিং, সোশ্যাল কানেকশন, পড়াশোনা, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব অ্যাপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই সকল সুবিধা গুলো পাওয়ার জন্য আমরা যে সকল ওয়েবসাইট, ওয়েব পেজ এবং ওয়েব অ্যাপ/অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করি সেগুলো তৈরি করতে কী কী লাগে? এখানেই রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভূমিকা।

এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যা যা জানবেন

  • প্রাথমিক আলোচনা
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী?
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল কাজ ও প্রকারভেদ
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি লাগে
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত টুলস এবং প্ল্যাটফর্ম
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ারের সুযোগ
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বাস্তব উদাহরণ
  • শেষ কথা

প্রাথমিক আলোচনা

ডেভেলপমেন্ট একটি বিস্তর টপিক বা বিষয়। এই আর্টিকেলে আমরা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী? ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি দক্ষতা প্রয়োজন এবং ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড সকল বিষয় সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে চান বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান অথবা আপনি আপনার প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি করতে আগ্রহী হন বা প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসতে পারে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ইন্টারনেটে চালিত একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ইন্টারনেটে নির্ভূল ও সফলভাবে পরিচালোনা করার প্রক্রিয়া। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে রয়েছে প্লেইন টেক্সট ভিত্তিক সাধারণ স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট (যেমন- পোর্টফোলিও বা ব্লগ) তৈরি করা থেকে শুরু করে জটিল ওয়েব-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, স্ট্রিমিং পরিষেবা ইত্যাদি। ওয়েব ডিজাইন প্রধানত একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ভিজ্যুয়ালিটি কেমন হবে সেটি নিয়ে কাজ করে অন্যদিকে ডেভেলপমেন্ট, একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারিতা, কাঠামো এবং কর্মক্ষমতা কেমন হবে সেটি নিয়ে কাজ করে। ইউজার যখন কোন একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের বোতামে ক্লিক করেন বা একটি ফর্ম পূরণ করেন, তখন ওয়েব পেজ বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের পেছনে যে ইভেন্ট বা অ্যাকশন হয় সেই কাজ গুলো ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করা হয়। সহজ ভাষায়, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনকে কার্যকরী করে তোলা ।

উদাহরণ:

আপনি যখন ফেসবুকে লগ ইন করেন তখন ফেসবুক আপনার ক্রিডেন্সিয়াল/পরিচয় ভেরিফাই করে আপনার নিউজ ফিড দেখায় এবং আপনাকে আপডেট পোস্ট করতে দেয় এই সবকিছু সম্ভব হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল কাজ ও প্রকারভেদ

আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আমাদের স্ক্রিনে যা কিছু দেখি, ক্লিক করি, এক পেজ থেকে অন্য পেজে যায়, কোন ফর্ম ফিল-আপ করি বা যত ইভেন্ট, অ্যাকশন করি সব কিছুর পেছনে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। আপনি এই আর্টিকেল পড়ার সময় উপরে-নিচে স্ক্রোল করছেন, অনলাইনে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করছেন বা অর্থ লেনদেন করছেন, অথবা কোনও অ্যাপ/ওয়েবসাইট থেকে খাবার বা পণ্য অর্ডার করছেন, সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে শ্রেণীবদ্ধ বা ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা যায়। প্রতিটি শ্রেণী বা ক্যাটাগরির পৃথক ও নির্দিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল কাজ ও প্রকারভেদ গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

১. ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ক্লায়েন্ট-সাইড)

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট হলো একজন ব্যবহারকারী তার ব্রাউজার থেকে ওয়েবসাইটে সরাসরি যা কিছু দেখে এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করে সেগুলো। যেমন- লেআউট, ডিজাইন, বোতাম, নেভিগেশন, ফন্ট এবং ছবি।

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত প্রযুক্তি:

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য 𝗛𝗧𝗠𝗟, 𝗖𝗦𝗦, 𝗝𝗮𝘃𝗮𝗦𝗰𝗿𝗶𝗽𝘁, এবং 𝗥𝗲𝗮𝗰𝘁, 𝗩𝘂𝗲, অথবা 𝗔𝗻𝗴𝘂𝗹𝗮𝗿 এর মতো ফ্রেমওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করা হয়। নিম্নে এগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।
𝗛𝗧𝗠𝗟: (𝗛𝘆𝗽𝗲𝗿𝗧𝗲𝘅𝘁 𝗠𝗮𝗿𝗸𝘂𝗽 𝗟𝗮𝗻𝗴𝘂𝗮𝗴𝗲)- 𝗛𝗧𝗠𝗟 এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কাঠামো তৈরি করা হয়।

𝗖𝗦𝗦: (𝗖𝗮𝘀𝗰𝗮𝗱𝗶𝗻𝗴 𝗦𝘁𝘆𝗹𝗲 𝗦𝗵𝗲𝗲𝘁𝘀)– ওয়েবসাইটের কাঠামোকে স্টাইল করা হয়।

𝗝𝗮𝘃𝗮𝗦𝗰𝗿𝗶𝗽𝘁 - ওয়েবসাইটকে ইন্টারঅ্যাক্টিভ করা হয়।

জনপ্রিয় 𝗧𝗼𝗼𝗹𝘀/𝗙𝗿𝗮𝗺𝗲𝘄𝗼𝗿𝗸𝘀:
  • 𝗕𝗼𝗼𝘁𝘀𝘁𝗿𝗮𝗽 (𝗖𝗦𝗦 𝗳𝗿𝗮𝗺𝗲𝘄𝗼𝗿𝗸)
  • 𝗥𝗲𝗮𝗰𝘁.𝗷𝘀, 𝗩𝘂𝗲.𝗷𝘀, 𝗔𝗻𝗴𝘂𝗹𝗮𝗿 (𝗝𝗮𝘃𝗮𝗦𝗰𝗿𝗶𝗽𝘁 𝗳𝗿𝗮𝗺𝗲𝘄𝗼𝗿𝗸𝘀)
লক্ষ্য:
ওয়েবসাইট দেখতে আকর্ষণীয়, ডায়নামিক এবং ইন্টারেক্টিভ ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করা।
উদাহরণ:
ওয়েবসাইটে একটি ফর্ম সাবমিট করার আগে আপনার ইমেল ইনপুট স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করে — এই কাজটি ফ্রন্ট-এন্ডে জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করা হয়।

২. ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সার্ভার-সাইড)

ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাক-এন্ডে যুক্তি বা লজিক থাকে। ব্যাক-এন্ডের মাধ্যমে ডাটাবেস ইন্টারঅ্যাকশন, সার্ভার ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যবহারকারীর অথেন্টিকেশন পরিচালনা করা হয়। ব্যাক-এন্ড কে ওয়েবের ইঞ্জিন রুম বলা হয়।

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত প্রযুক্তি:

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে নিম্নে বর্ণিত কাজগুলো পরিচালনা বা হ্যান্ডেল করা হয়।
  • ডেটা প্রসেসিং।
  • বিজনেস লজিক।
  • ইউজার অথেন্টিকেশন।
  • সার্ভার রেসপন্স।

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত ভাষা:

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য 𝗣𝗛𝗣, 𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻, 𝗝𝗮𝘃𝗮, 𝗥𝘂𝗯𝘆, 𝗡𝗼𝗱𝗲.𝗷𝘀 কোর ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়।

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত ডাটাবেজ:

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টে ডাটাবেজের কাজ করার জন্য 𝗠𝘆𝗦𝗤𝗟, 𝗣𝗼𝘀𝘁𝗴𝗿𝗲𝗦𝗤𝗟, 𝗠𝗼𝗻𝗴𝗼𝗗𝗕 ব্যবহার করা হয়।

জনপ্রিয় 𝗙𝗿𝗮𝗺𝗲𝘄𝗼𝗿𝗸𝘀:

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টে 𝗙𝗿𝗮𝗺𝗲𝘄𝗼𝗿𝗸𝘀 হিসেবে 𝗘𝘅𝗽𝗿𝗲𝘀𝘀 (𝗡𝗼𝗱𝗲.𝗷𝘀), 𝗟𝗮𝗿𝗮𝘃𝗲𝗹 (𝗣𝗛𝗣), 𝗗𝗷𝗮𝗻𝗴𝗼 (𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻) ব্যবহার করা হয়।

লক্ষ্য:

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করুন যে ওয়েবসাইটটির স্ক্রিনের পেছনের কাজ যেমন- ডেটা প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়।

উদাহরণ:

ধরুন, যখন আপনি একটি ই-কমার্স সাইটে পেমেন্ট সম্পন্ন করেন, তখন ব্যাক-এন্ড কোড, ইনভেন্টরি চেক করে, আপনার পেমেন্ট প্রসেস করে এবং আপনার অর্ডার নিশ্চিত করে।

৩. ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট

ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট হলো ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টের কম্বিনেশন। অর্থাৎ, একজন ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করেন। ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপাররা শুরু থেকেই একটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ?

২০২৫ সালে, অনলাইনে প্রায় ১.১ বিলিয়নেরও বেশি ওয়েবসাইট বিদ্যমান রয়েছে (সূত্র: ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটস)। বর্তমানে প্রতিটি ব্যবসা, স্কুল এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকা বা অনলাইনে সে সকল ব্যবসা, প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি থাকা প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
✅বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো: একটি ওয়েবসাইট যেকোনো ব্যবসাকে 𝟮𝟰/𝟳 বিশ্বব্যাপী ভিজিটর/ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

✅ব্র্যান্ড পরিচিতি: একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ব্র্যান্ড পরিচয় এবং গ্রাহকের আস্থা তৈরি করে এবং একটি কোম্পানির পেশাদারিত্বকে প্রতিফলিত করে।

✅ইউজার ইঙ্গেজমেন্ট: ফাস্ট, ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইটগুলো ইউজার ইঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করে।

✅অ্যাক্সেসিবিলিটি: বিশ্বব্যাপী ২৪/৭ সার্ভিস প্রদান করা যায়।

✅রেভিনিউ জেনারেশন: অনলাইন স্টোর, সার্ভিস বুকিং এবং এ্যাড মনেটাইজেশনসহ সবকিছুই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে করা হয়।

✅উদ্ভাবন/𝗜𝗻𝗻𝗼𝘃𝗮𝘁𝗶𝗼𝗻: এআই (𝗔𝗜) চ্যাটবট থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত শপিং অভিজ্ঞতা - সবকিছুই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা কোডিং দ্বারা পরিচালিত হয়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি লাগে

আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে চান তাহলে নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনার কী কী শেখা প্রয়োজন তা নিম্নে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে।

১. ওয়েব কীভাবে কাজ করে তার মৌলিক ধারণা

ওয়েবসাইটগুলো কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। আপনি বেসিক থেকে শুরু করুন। যেমন-
  • 𝗛𝗧𝗧𝗣/𝗛𝗧𝗧𝗣𝗦 কী?
  • সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট কী?
  • সার্ভার এবং ব্রাউজার কি, কি ভাবে কাজ করে?
  • ডোমেইন এবং 𝗜𝗣 ঠিকানা কীভাবে কাজ করে?

২. ফ্রন্ট-এন্ড টেকনোলজিস

ফ্রন্ট-এন্ড টেকনোলজির মৌলিক বিষয়গুলো দিয়ে শুরু করুন।
  • 𝗛𝗧𝗠𝗟 কন্টেন্টের স্ট্রাকচার (𝗵𝗲𝗮𝗱𝗶𝗻𝗴𝘀, 𝗽𝗮𝗿𝗮𝗴𝗿𝗮𝗽𝗵𝘀, 𝗶𝗺𝗮𝗴𝗲𝘀, 𝗳𝗼𝗿𝗺𝘀) লিখুন।
  • 𝗖𝗦𝗦 কন্টেন্টের স্টাইল (𝗰𝗼𝗹𝗼𝗿𝘀, 𝗹𝗮𝘆𝗼𝘂𝘁, 𝗳𝗼𝗻𝘁𝘀, 𝘀𝗽𝗮𝗰𝗶𝗻𝗴) শিখুন।
  • 𝗝𝗮𝘃𝗮𝗦𝗰𝗿𝗶𝗽𝘁 (𝗘𝗦𝟲+): ইন্টারাকটিভিটি (𝘀𝗹𝗶𝗱𝗲𝗿𝘀, 𝗽𝗼𝗽𝘂𝗽𝘀, 𝗮𝗻𝗶𝗺𝗮𝘁𝗶𝗼𝗻𝘀) যুক্ত করুন।

  • তারপরে রেসপন্সিভ (মোবাইল-ফ্রেন্ডলি) ডিজাইনের জন্য (𝗺𝗲𝗱𝗶𝗮 𝗾𝘂𝗲𝗿𝗶𝗲𝘀, 𝗕𝗼𝗼𝘁𝘀𝘁𝗿𝗮𝗽) শিখুন।
  • 𝗝𝗮𝘃𝗮𝗦𝗰𝗿𝗶𝗽𝘁 ফ্রেমওয়ার্ক (যেমন- 𝗥𝗲𝗮𝗰𝘁 বা 𝗩𝘂𝗲) এ মুভ করুন।

৩. ব্যাক-এন্ড টেকনোলজিস

ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য নিচের যেকোন একটি ভাষা এবং ফ্রেমওয়ার্ক বেছে নিন:
✅𝗦𝗲𝗿𝘃𝗲𝗿-𝗦𝗶𝗱𝗲 𝗟𝗮𝗻𝗴𝘂𝗮𝗴𝗲:
  • 𝗡𝗼𝗱𝗲.𝗷𝘀 𝘄𝗶𝘁𝗵 𝗘𝘅𝗽𝗿𝗲𝘀𝘀 (𝗝𝗮𝘃𝗮𝗦𝗰𝗿𝗶𝗽𝘁-ভিত্তিক)
  • 𝗣𝗛𝗣 𝘄𝗶𝘁𝗵 𝗟𝗮𝗿𝗮𝘃𝗲𝗹
  • 𝗣𝘆𝘁𝗵𝗼𝗻 𝘄𝗶𝘁𝗵 𝗗𝗷𝗮𝗻𝗴𝗼 𝗼𝗿 𝗙𝗹𝗮𝘀𝗸
✅ডাটাবেস: (কিভাবে ডাটা স্টোর এবং রিট্রাইভ করতে হয়।)
  • 𝗠𝘆𝗦𝗤𝗟, 𝗣𝗼𝘀𝘁𝗴𝗿𝗲𝗦𝗤𝗟, 𝗠𝗼𝗻𝗴𝗼𝗗𝗕
✅𝗔𝘂𝘁𝗵𝗲𝗻𝘁𝗶𝗰𝗮𝘁𝗶𝗼𝗻 & 𝗔𝗣𝗜𝘀:
  • 𝗥𝗘𝗦𝗧, 𝗚𝗿𝗮𝗽𝗵𝗤𝗟

৪. ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম

ভার্সন কন্ট্রোলের জন্য 𝗚𝗶𝘁 অপরিহার্য, এবং 𝗚𝗶𝘁𝗛𝘂𝗯 আপনাকে নিয়োগকর্তাদের (𝗲𝗺𝗽𝗹𝗼𝘆𝗲𝗿𝘀) সাথে সহযোগিতা করতে বা আপনার কাজ প্রদর্শন করতে সাহায্য করে। কোড পরিচালনা করতে এবং অন্যদের সাথে সহযোগিতা/কোলাবোরেট করতে 𝗚𝗶𝘁 এবং 𝗚𝗶𝘁𝗛𝘂𝗯 শিখুন।

৫. ওয়েব হোস্টিং এবং ডিপ্লয়মেন্ট

এর পরে শিখুন কিভাবে একটি ওয়েবসাইট ডিপ্লয় এবং ইন্টারনেটে লাইভ করতে হয়। ওয়েব হোস্টিং এবং ডিপ্লয়মেন্টের জন্য নিচের প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
✅ফ্রী প্লাটফর্মস : 𝗡𝗲𝘁𝗹𝗶𝗳𝘆, 𝗩𝗲𝗿𝗰𝗲𝗹, 𝗚𝗶𝘁𝗛𝘂𝗯 𝗣𝗮𝗴𝗲𝘀 (ফ্রন্ট-এন্ডের জন্য)
✅পেইড হোস্টিং সার্ভিস: 𝗰𝗣𝗮𝗻𝗲𝗹, 𝗩𝗣𝗦, অথবা 𝗰𝗹𝗼𝘂𝗱 𝗽𝗹𝗮𝘁𝗳𝗼𝗿𝗺𝘀 যেমন- 𝗔𝗪𝗦 অথবা 𝗗𝗶𝗴𝗶𝘁𝗮𝗹𝗢𝗰𝗲𝗮𝗻

৬. অপশনাল কিন্তু মূল্যবান দক্ষতা

  • 𝗨𝗜/𝗨𝗫 𝗗𝗲𝘀𝗶𝗴𝗻 𝗣𝗿𝗶𝗻𝗰𝗶𝗽𝗹𝗲𝘀
  • 𝗦𝗘𝗢 𝗕𝗮𝘀𝗶𝗰𝘀
  • 𝗦𝗲𝗰𝘂𝗿𝗶𝘁𝘆 𝗣𝗿𝗮𝗰𝘁𝗶𝗰𝗲𝘀
  • 𝗧𝗲𝘀𝘁𝗶𝗻𝗴 𝗮𝗻𝗱 𝗗𝗲𝗯𝘂𝗴𝗴𝗶𝗻𝗴

ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত টুলস এবং প্ল্যাটফর্ম

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়। নিম্নে কিছু জনপ্রিয় টুলস এবং প্ল্যাটফর্মের নাম উল্লেখ করা হলো।
ক্যাটাগরি টুলস
Code Editors VS Code, Sublime Text
Design Tools Figma, Adobe XD
Task Runners Webpack, Gulp
Package Managers npm, Yarn
Frameworks React, Next.js, Django, Laravel
Version Control Git, GitHub
CMS WordPress, Drupal
Development Environments Localhost, Netlify, Vercel, Firebase, Docker

ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ারের সুযোগ

ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সাথে সাথে বর্তমানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতাগুলোর মধ্যে একটি হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ফ্রিল্যান্সার, এজেন্সি এবং টেক কোম্পানি সকলেরই দক্ষ ওয়েব ডেভেলপারদের প্রয়োজন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আপনার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাস্তা/পথ খুলে দিয়েছে। যেমন-
  • 𝗙𝗿𝗼𝗻𝘁-𝗘𝗻𝗱 𝗗𝗲𝘃𝗲𝗹𝗼𝗽𝗲𝗿
  • 𝗕𝗮𝗰𝗸-𝗘𝗻𝗱 𝗗𝗲𝘃𝗲𝗹𝗼𝗽𝗲𝗿
  • 𝗙𝘂𝗹𝗹-𝗦𝘁𝗮𝗰𝗸 𝗗𝗲𝘃𝗲𝗹𝗼𝗽𝗲𝗿
  • 𝗪𝗲𝗯 𝗗𝗲𝘀𝗶𝗴𝗻𝗲𝗿
  • 𝗨𝗜/𝗨𝗫 𝗗𝗲𝘃𝗲𝗹𝗼𝗽𝗲𝗿
  • 𝗗𝗲𝘃𝗢𝗽𝘀 𝗘𝗻𝗴𝗶𝗻𝗲𝗲𝗿
মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর (𝗨.𝗦. 𝗕𝘂𝗿𝗲𝗮𝘂 𝗼𝗳 𝗟𝗮𝗯𝗼𝗿 𝗦𝘁𝗮𝘁𝗶𝘀𝘁𝗶𝗰𝘀) মতে, ২০২২ থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত ওয়েব ডেভেলপারদের চাকরি ১৬% বৃদ্ধি পাবে - যা এ্যাভারেজ/গড়ের তুলনায় অনেক দ্রুত।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বাস্তব উদাহরণ

আসুন একটি বাস্তব জীবনের উদাহরণ ভেঙে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করি। 𝗙𝗼𝗼𝗱𝗽𝗮𝗻𝗱𝗮 𝗼𝗿 𝗨𝗯𝗲𝗿 𝗘𝗮𝘁𝘀 এর মতো একটি অনলাইন খাবার বা 𝗮𝗺𝗮𝘇𝗼𝗻, 𝗮𝗹𝗶𝗯𝗮𝗯𝗮, 𝗮𝗹𝗶𝗲𝘅𝗽𝗿𝗲𝘀𝘀, 𝗪𝗮𝗹𝗺𝗮𝗿𝘁 ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল পণ্য অর্ডার করার ওয়েবসাইট।
✅ফ্রন্ট-এন্ড: গ্রাহকরা ওয়েবসাইট গুলোতে মেনু ব্রাউজ করেন এবং ""𝗔𝗱𝗱 𝘁𝗼 𝗖𝗮𝗿𝘁" এ ক্লিক করেন।
✅ব্যাক-এন্ড: ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা, পেমেন্ট প্রসেস করা, ডেলিভারি লজিস্টিক পরিচালনা করা।
✅ডাটাবেস: ওয়েবসাইটের ডেটা, অর্ডার হিস্ট্রি, ইউজার রিভিউস স্টোর করা।
✅এপিআই/𝗔𝗣𝗜𝘀: ডেলিভারি ট্র্যাকিংয়ের জন্য ম্যাপ সার্ভিস সাথে সংযোগ স্থাপন করা।

এটি একটি ফুল-স্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন/ওয়েবসাইট/সিস্টেম যা মাল্টি-লেয়ার ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে তৈরি।

শেষ কথা

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেবল একটি প্রযুক্তিগত দক্ষতা নয় - এটি একটি ক্রিয়েটিভ সুপার পাওয়ার। আপনি একটি পার্সোনাল ব্লগ, একটি অনলাইন স্টোর, অথবা একটি ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন না কেন, আপনি যদি জানেন বা বোঝেন যে একটি ওয়েবসাইট কীভাবে তৈরি করা হয় তাহলে আপনি ইন্টারনেটে যেকোনো কিছু তৈরি করতে পারবেন। আপনি একজন ছাত্র, উদ্যোক্তা, অথবা ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে চান এমন কেউ হোন না কেন, এই ডিজিটাল যুগে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা আপনার জন্য একটি বুদ্ধিমান হতে পারে। সঠিক টুলস শেখার মাধ্যমে এবং নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখার মাধ্যমে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফিল্ডে একটি সফল ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। ছোট করে শুরু করুন, ধারাবাহিক থাকুন এবং কিছু না কিছু তৈরি করতে থাকুন। মনে রাখবেন, প্রতিটি বিশেষজ্ঞ/এক্সপার্ট ডেভেলপার একসময় একজন শিক্ষানবিস/বিগিনার ছিলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url