ডাটাবেজ কি-ডাটাবেজ কত প্রকার ও কি কি-ডাটা সর্টিং ও সার্চিং কি
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ডাটাবেজ শব্দটি আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
উঠেছে। বাস্তব পৃথিবীতে, অনলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়
পোস্ট করা পর্যন্ত প্রতিটি কাজের মাধ্যমেই ডেটা তৈরি হয়। আপনি প্রযুক্তি নিয়ে
পড়াশোনা করছেন, আইটি-তে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা করছেন, অথবা কীভাবে ডেটা
সংরক্ষণ এবং পরিচালনা করা হয় তা জানতে আগ্রহী, তাহলে আপনার জন্য ডেটাবেস বোঝা
অপরিহার্য। এই আর্টিকেলে ডেটাবেজ বলতে কি বোঝায়, ডাটাবেজের ধরণ, ডাটাবেজের
উপাদান সহজ ভাষায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ডাটাবেজ আর্টিকেলে যা রয়েছেঃ-
- ডেটাবেজ (Database) কি?
- ডাটাবেজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- ডাটাবেজ কেন প্রয়োজন?
- ডাটাবেজ কত প্রকার ও কি কি?
- ডাটাবেসের মূল উপাদান
- ডাটা সর্টিং ও সার্চিং কি?
ডেটাবেজ (Database) কি?
ডেটাবেজ হলো এক বা একাধিক ফাইল বা টেবিল নিয়ে গঠিত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও
সুসংগঠিত কিছু ডেটা (তথ্য সংগ্রহ) যা সহজেই সংরক্ষণ, ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও
পরিচালনা এবং প্রয়োজনে পুনরুদ্ধার করা যায়। এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
থাকা ফাইল বা ডকুমেন্টে তথ্য রাখার পরিবর্তে, একটি ডাটাবেজে একটি কাঠামোগত
বিন্যাসে (Structured Format) ডেটা সাজিয়ে রাখা হয় যাতে করে কম্পিউটার ডাটা
গুলোকে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে অ্যাক্সেস করতে পারে। ডিজিটাল জগতের সব জায়গাতেই
ডাটাবেজ বিদ্যমান। আপনি যখন কোন একটি ওয়েবসাইটে লগ-ইন করেন, তখন আপনার ইউজার
নেম এবং পাসওয়ার্ড একটি ডাটাবেস থেকে চেক করা হয়। আপনি যখন কোন অনলাইন
মার্কেটপ্লেস থেকে একটি পণ্য ক্রয় করেন, তখন আপনার অর্ডারের সকল তথ্য একটি
ডাটাবেসে রেকর্ড করা হয়। এমনকি আপনার মোবাইল ফোনে সেভ করা কন্টাক্ট নাম্বার
গুলোও একটি ছোট ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে।
ডাটাবেজ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আধুনিক সিস্টেমগুলো প্রতি সেকেন্ডে বিপুল পরিমাণে ডেটা ব্যবহার করে। সাধারণ
ফাইলগুলোতে এত বিশাল ভলিউম ডাটা সংরক্ষণ করা ধীর প্রকৃতির, এলোমেলো এবং অনিরাপদ
হবে। ডাটাবেজ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- ডেটা সংগঠিত রাখা।
- দ্রুত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা।
- তথ্য ক্ষতি বা অপব্যবহার থেকে রক্ষা করা।
- একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী বা সিস্টেমকে একই ডেটা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া।
- নির্ভুলতা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
আসল কথা, ডাটাবেস না থাকলে আজকের ডিজিটাল জগৎ ভেঙে পড়ত।
ডাটাবেজ কেন প্রয়োজন?
মানুষের বিভিন্ন ধরণের উপাত্ত বা ডাটার প্রয়োজন হয়। তাই আমরা বিভিন্ন ধরণের
তালিকা বা লিস্ট তৈরি করে তাতে ডাটা সংরক্ষণ এবং বিন্যস্ত করি। বাজারের তালিকা,
ফোনবুক, লাইব্রেরীর ক্যাটালগ এবং ছাত্রদের তালিকা-সবই সুবিন্যস্ত উপাত্তের
তালিকা। অনুরূপভাবে কম্পিউটারেরও প্রয়োজন হয় উপাত্তের তালিকা সুসংগঠিত রূপে
সংরক্ষণ করা এবং তা নিযন্ত্রণ করা। কম্পিউটারাইজড ডাটাবেজ সৃষ্টির মূল কারণ
সেটাই। প্রকৃতপক্ষে বিশাল পরিমাণ উপাত্ত সুসংগঠিত, সুবিন্যস্ত ও সুসংরক্ষিত
করার চাহিদা থেকেই কম্পিউটার এবং কম্পিউটার প্রোগ্রাম সৃষ্টির প্রয়াস উদ্ভূত
হয়েছে।
বর্তমান কালের কম্পিউটার আগেকার কম্পিউটারের থেকে অনেক অনেক বেশি জটিল এবং
উন্নত। কিন্তু এখনও তাদের একটি সুসংগঠিত এবং সুবিন্যস্ত ডাটা সোর্স বা উৎসের
প্রয়োজন হয় এবং এই প্রয়োজনটি প্রত্যেক ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্যই একই
মাত্রায় প্রয়োজনীয়। উদাহরণস্বরূপ- একটি ওয়ার্ড প্রসেসর কতিপয় ডাটাবেজ সংরক্ষণ
করে। যেমন-বানান চেক করার জন্য শব্দসমূহের একটি ডিকশনারী, ফন্টগুলোর তালিকা এবং
আরো অনেক ধরণের ডাটা
বাস্তবে প্রতিটি এ্যাপ্লিকেশন সৃষ্টি হয়েছে এমন সব প্রাথমিক প্রোগ্রাম থেকে
যারা ডাটা সংরক্ষণ এবং প্রসেস করে, তাই সে এ্যাপ্লিকেশন শব্দ বা সুসংগঠিত
উপাত্ত তালিকা নিয়ে কাজ করুক আর না করুক। বড় ধরণের বাণিজ্যিক এ্যাপ্লিকেশন
যেমন-সেলস সাপোর্ট সফ্টওয়্যার। যদিও একটি ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে ভিন্ন রকম মনে হয়
তবুও প্রতিটি অপারেশনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এক বা একাধিক ডাটাবেজ। সংক্ষেপে
বলতে গেলে, আপনি ডাটাবেজকে সকল কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশনের মা বা জননী হিসাবে
আখ্যায়িত করতে পারেন।
ডাটাবেজ কত প্রকার ও কি কি?
ডাটাবেস সব জায়গায় একই রকম নয়। বিভিন্ন সিস্টেম তাদের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী
বিভিন্ন ধরণের ডাটাবেস ব্যবহার করে। এখানে ডাটাবেজের প্রকারভেদ বর্ণনা করা হলোঃ
১. রিলেশনাল ডাটাবেস (RDBMS)
রিলেশনাল ডাটাবেসগুলো স্প্রেডশিটের মতো টেবিলে ডেটা সংরক্ষণ করে। প্রতিটি
টেবিলে সারি এবং কলাম থাকে। ডেটা পরিচালনার জন্য তারা স্ট্রাকচার্ড কোয়েরি
ল্যাঙ্গুয়েজ (SQL=Structured Query Language) ব্যবহার করে।
উদাহরণঃ MySQL, PostgreSQL, Oracle, SQL Server.বেস্ট ফরঃ ব্যাংকিং, CRM সফ্টওয়্যার, ERP সিস্টেম ইত্যাদি।
২. NoSQL ডাটাবেস
NoSQL ডাটাবেসগুলো নন-রিলেশনাল। NoSQL ডাটাবেসকে অসংগঠিত বা আধা-সংগঠিত ডেটা
যেমন- ডকুমেন্ট, ছবি, JSON ফাইল ইত্যাদির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো
রিলেশনাল ডাটাবেসের তুলনায় বেশি নমনীয়তা এবং স্কেলেবিলিটি প্রদান করে।
NoSQL ডাটাবেসের প্রকারঃ- কী-ভ্যালু স্টোর্স {Key-value stores (যেমন- Redis)}
- ডকুমেন্ট ডাটাবেস {Document databases (যেমন- MongoDB)}
- কলাম-ভিত্তিক {Column-based (যেমন- Cassandra)}
- গ্রাফ ডাটাবেস {Graph databases (যেমন- Neo4j)}
৩. হায়ারার্কিকাল ডাটাবেস
ডেটা একটি ট্রি কাঠামোর মতো সাজানো থাকে যেখানে প্যারেন্ট-চাইল্ড রিলেশনশিপ
থাকে। প্রতিটি প্যারেন্ট এর একাধিক চাইল্ড থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিটি চাইল্ডের
কেবল একটি প্যারেন্ট থাকে।
ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ প্রাথমিক মেইনফ্রেম সিস্টেম, কিছু সরকারি অ্যাপ্লিকেশন।
৪. নেটওয়ার্ক ডাটাবেস
নেটওয়ার্ক ডাটাবেস হলো হাইরার্কিক্যাল ডাটাবেসের তুলনায় উন্নত। এখানে একটি
চাইল্ডের একাধিক প্যারেন্ট থাকতে পারে। এটি একটি নেটওয়ার্কের মতো কাঠামো তৈরি
করে।
ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ লিগ্যাসি সিস্টেম এবং প্রাথমিক এন্টারপ্রাইজ
অ্যাপ্লিকেশন৫. ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস
ডেটা একাধিক স্থানে (বিভিন্ন সার্ভার বা ভৌগোলিক এলাকা) সংরক্ষণ করা হয় কিন্তু
ব্যবহারকারীর কাছে এটি একটি একক ডাটাবেস হিসেবে উপস্থিত হয়।
সুবিধাঃ দ্রুত অ্যাক্সেস, অতিরিক্ত সুবিধা, উন্নত নির্ভরযোগ্যতা।৬. ক্লাউড ডাটাবেস
এই ডাটাবেসগুলো AWS, Google Cloud, অথবা Azure এর মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে চলে।
এগুলো স্কেলেবল, সুরক্ষিত এবং ক্লাউড প্রোভাইডারদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
উদাহরণঃ Amazon Aurora, Google Cloud Spannerবেস্ট ফরঃ আধুনিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, এন্টারপ্রাইজ সিস্টেম
৭. অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড ডাটাবেস
প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো যেভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে, ঠিক তেমনই ডেটা গুলো অবজেক্ট
হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়।
ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ এআই, সিএডি সিস্টেম, রোবোটিক্স।ডাটাবেসের মূল উপাদান
ডাটাবেজ হচ্ছে একটি বিশেষ কাঠামোতে সাজানো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত একগুচ্ছ ডাটা
বা ঘটনার (facts) সমষ্টি। কম্পিউটারাইজড না এমন ডাটাবেজের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে
টেলিফোন ডাইরেক্টরী। টেলিফোন কোম্পানীগুলো তাদের ফোনবুক তৈরি করার জন্য
ইলেকট্রনিক ডাটাবেজ প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকে। অনেক সময় আপনি হয়তো একটি বিশেষ
ধরণের ফোনবুক দেখতে পাবেন যা কেবল নামের শেষ অংশের ভিত্তিতে সাজানো নয় বরং
অন্যান্য আইটেম যেমন-ফোন নাম্বার বা ঠিকানা ইত্যাদি অনুসারেও সাজানো আছে। এই
ধরণের ফোনবুক তৈরি করা অত্যন্ত সহজ কারণ টেলিফোন কোম্পানীর ইলেকট্রনিক ডাটাবেজ
ডাটাকে বিভিন্ন ভাবে সাজাতে বা বিন্যস্ত করতে পারে। ডাটাবেসে বেশ কিছু
প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে যা মসৃণভাবে কাজ করে। এই উপাদানগুলো বোঝার মাধ্যমে
আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে ডেটা সংরক্ষণ এবং কাঠামোবদ্ধ করা হয়।
১. টেবিল (Table)
টেবিল হলো রিলেশনাল ডাটাবেসের প্রধান কাঠামো। প্রতিটি টেবিল একটি নির্দিষ্ট
বিষয় সম্পর্কে ডেটা ধারণ করে। রেকর্ডসমূহের একটি পূর্নাঙ্গ সমষ্টিকে টেবিল বলা
হয়। এক বা একাধিক রেকর্ড নিয়ে টেবিল তৈরি হয়। প্রত্যেকটি টেবিলের একটি
নির্দিষ্ট নাম থাকে। আপনার যখন ডাটা জমা রাখার একটি কাঠামো (Structure) থাকবে
তখন আপনি ডাটা এন্ট্রি দিতে বা প্রবেশ করাতে পারবেন, ডাটা দেখতে পারবেন,
রিপোর্ট তৈরি করতে পারবেন এবং সেই ডাটা দিয়ে অন্যান্য কাজ করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ- আপনি একটি কাস্টমার রিপোর্ট করতে পারবেন যা ZIP কোড অনুযায়ী
কাস্টমারদেরকে তালিকাভুক্ত করবে।
উদাহরণঃ- একটি “Customers” টেবিল গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ করে।
- একটি “Orders” টেবিল পণ্য ক্রয়ের বিবরণ সংরক্ষণ করে।
ডেটাবেজের ভিত্তি হচ্ছে ফিল্ড। ফিল্ড হলো সেই ক্ষুদ্রতম ডেটা ইউনিট যা
ব্যবহারকারী একই জাতীয় ডেটাকে একটি ক্যাটাগরিতে নামকরণ করেন। প্রতিটি ফিল্ডের
একটি নির্দিষ্ট ডেটা টাইপ থাকে। যেমন: টেক্সট ফিল্ড, সংখ্যা ফিল্ড ইত্যাদি।
উদাহরণঃ নাম, ইমেল, বয়স, ঠিকানা।৩. রেকর্ড (Record)
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি ফিল্ড নিয়ে গঠিত হয় এক একটি রেকর্ড। বিভিন্ন রেকর্ড
বিভিন্ন সম্পর্কযুক্ত ফিল্ড নিয়ে তৈরী হয়। একটি টেবিলের প্রতিটি সারি একটি
রেকর্ড। এটি একটি একক এন্ট্রি উপস্থাপন করে।
উদাহরণঃ একজন গ্রাহকের তথ্য একটি রেকর্ড।৪. ইন্ডেক্স
ইন্ডেক্স গুলো একটি ডাটাবেসে সার্চের গতি উন্নত করে। এগুলো একটি বইয়ের
সূচীপত্রের মতো কাজ করে।
৫. কী ফিল্ড (Key Field) কি
সাধারণত কোন একটি ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে ফাইলের রেকর্ড সনাক্তকরণ, অনুসন্ধান,
সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদি কাজগুলো করা হয়। এই ফিল্ডকে কী ফিল্ড (Key Field) বলে।
এক বা একাধিক অবস্থা বা ঘটনা বর্ণনার জন্য কী ফিল্ড ব্যবহার করা হয়।
কী ফিল্ড প্রধানত তিন ধরনের হতে পারে। যথা:- প্রাইমারী কী (Primary Key)।
- কম্পোজিট প্রাইমারী কী (Composite Primary Key)।
- ফরেন কী (Foreign Key)।
একটি প্রাইমারি কী প্রতিটি রেকর্ডকে স্বতন্ত্রভাবে সনাক্ত করে। কোনও দুটি
রেকর্ড একই প্রাইমারি কী শেয়ার করে না।
উদাহরণঃ কাস্টমার আইডি, অর্ডার আইডি।ফরেইন কী
একটি ফরেইন কী দুটি টেবিলের মধ্যে একটি সংযোগ তৈরি করে।
উদাহরণঃ অর্ডার টেবিলের “কাস্টমার আইডি” গ্রাহক টেবিলের সাথে লিঙ্ক করে।
ডাটা সর্টিং ও সার্চিং কি?
সর্টিং (Sorting): Sorting এর অর্থ হলো ক্রমানুসারে সাজানো। এটি
ডাটাবেজের রেকর্ডসমূহ মানের উর্ধ্ব বা নিম্ন ক্রমানুসারে সাজানো প্রক্রিয়া
বিশেষ। এ সাজানোর প্রক্রিয়াটি বা ডাটা সর্টিং বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। যেমন-
Ascending, Descending. Alphanumeric Sort ইত্যাদি।
সার্চিং (Searching): Searching এর অর্থ হলো অনুসন্ধান করা। কম্পিউটারে
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ডাটাবেজ
থেকে কোন তথ্যকে খুঁজে বের করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করা
হয়। প্রোগ্রামের বা এই জাতীয় সার্চ ইঞ্জিন প্রোগ্রাম তৈরি করে মূল ডাটাবেজ
সফ্টওয়্যারের সাথে বিল্ট-ইন দিয়ে থাকেন। যেমনঃ-ধরুন একটি ডাটাবেজ থেকে অন্য
একটি এ্যাড্রেস বা নাম কতবার কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে তা অতি সহজে
সার্চিং করে বের করা যায়।
সচরাচর জিজ্ঞাসাঃ
ডাটাবেজের ৫টি প্রধান অংশ কি কি?
একটি ডাটাবেসের পাঁচটি প্রধান উপাদান হল হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডেটা,
পদ্ধতি এবং ডাটাবেস অ্যাক্সেস ভাষা ।
ডাটাবেজের তিনটি উপাদান কি কি?
একটি ডাটাবেস সাধারণত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত: ডেটা, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট
সিস্টেম (DBMS) এবং স্কিমা । ডেটা: এটি ডাটাবেসে সংরক্ষিত প্রকৃত তথ্য, যেমন
রেকর্ড, টেবিল বা ফাইল। ডেটাতে টেক্সট, সংখ্যা, ছবি, অথবা অন্যান্য
কাঠামোগত/অসংগঠিত বিন্যাস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
Database শব্দের অর্থ কি?
"Database" শব্দের অর্থ হলো ডেটাবেস, যা কম্পিউটার সিস্টেমে ইলেকট্রনিকভাবে
সংরক্ষিত কাঠামোগত তথ্য বা উপাত্তের একটি সংগঠিত সংগ্রহ। এটি মূলত তথ্যের একটি
ঘাঁটি বা সমাবেশ।
ডেটাবেস কী?
ডাটাবেজ হচ্ছে একটি বিশেষ কাঠামোতে সাজানো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত একগুচ্ছ ডাটা
বা ঘটনার (facts) সমষ্টি। অন্যভাবে, ডাটাবেস হলো তথ্যের কাঠামোবদ্ধ সংগ্রহ
যেখানে ডেটা বা উপাত্তকে একটি নির্দিষ্ট মডেল অনুসারে সাজিয়ে রাখা, সহজে
অ্যাক্সেস, পরিচালনা এবং বিশ্লেষণ করা যায়।কম্পিউটারাইজড না এমন ডাটাবেজের
উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে টেলিফোন ডাইরেক্টরী।
ডাটাবেজ কি এবং এর প্রকারভেদ?
ডেটাবেজ হলো এক বা একাধিক ফাইল বা টেবিল নিয়ে গঠিত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও
সুসংগঠিত কিছু ডেটা (তথ্য সংগ্রহ) যা সহজেই সংরক্ষণ, ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও
পরিচালনা এবং প্রয়োজনে পুনরুদ্ধার করা যায়। সব জায়গায় একই ডাটাবেস ব্যবহৃত হয়
না। বিভিন্ন সিস্টেম তাদের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের ডাটাবেস
ব্যবহার করে। যেমন-
১. রিলেশনাল ডাটাবেস (RDBMS)
২. NoSQL ডাটাবেস
৩. হায়ারার্কিকাল ডাটাবেস
৪. নেটওয়ার্ক ডাটাবেস
৫. ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস
৬. ক্লাউড ডাটাবেস
৭. অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড ডাটাবেস
Database কেন প্রয়োজন?
একসাথে বিশাল আকারের তথ্য স্টোর করা প্রায় অসম্ভব। তাই, এক সাথে বিপুল পরিমাণ
তথ্য সংরক্ষণের জন্য ডাটাবেস অপরিহার্য। দ্রুত তথ্য অ্যাক্সেস, পরিচালনা,
পরিবর্তন, আপডেট, সংগঠিত এবং পুনরুদ্ধার করার জন্য Database প্রয়োজন।
ডেটাবেজের ভিত্তি কোনটি?
ডেটাবেজের ভিত্তি হলো ফিল্ড (Field), যা তথ্যের একটি একক অংশ। একাধিক ফিল্ড
মিলে একটি রেকর্ড (Record) এবং একাধিক রেকর্ড মিলে একটি টেবিল (Table) গঠিত
হয়। এই টেবিলগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে ডেটাবেজ তৈরি করে।
ফিল্ডঃ ডেটাবেজের ক্ষুদ্রতম অংশ, যা একটি নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য ধারণ করে। যেমন-
উদাহরণঃ নাম, ইমেল, বয়স, ঠিকানা।
রেকর্ডঃ একাধিক ফিল্ড মিলে একটি সম্পূর্ণ রেকর্ড তৈরি হয়। যেমন- একজন ব্যক্তির
সমস্ত তথ্য (নাম, বয়স, ঠিকানা) নিয়ে একটি রেকর্ড তৈরি হয়।
টেবিলঃ অনেকগুলো রেকর্ড মিলে একটি টেবিল গঠিত হয়। এই টেবিলগুলোতে ডেটা সারি
এবং কলাম আকারে সাজানো থাকে।
Primary key এর কাজ কি?
রিলেশনাল ডাটাবেসে প্রাইমারি কীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। Primary
key, ডেটা বা তথ্যের অখণ্ডতাকে শক্তিশালী করে এবং সফল ডেটা পুনরুদ্ধার সক্ষম
করে । আবার, রিলেশনাল ডাটাবেসে টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের জন্য
প্রাইমারি কীগুলিকে অন্য ধরণের কী দ্বারা উল্লেখ করা যেতে পারে।
ডাটাবেজের ক্ষুদ্রতম অংশ কোনটি?
ডেটাবেজের ক্ষুদ্রতম অংশ হলো ফির্ড। ফিল্ড একটি নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য ধারণ করে।
যেমন- নাম, ইমেল, বয়স, ঠিকানা।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url