ট্রাবলশুটিং কি-ট্রাবলশুটিং করার ধাপ
প্রত্যেক Artist-দের যেমন নিজস্ব স্টাইল থাকে তেমনি প্রত্যেক টেকনিশিয়ানদেরও
সমস্যা সমাধানের নিজস্ব পন্থা থাকে। কেউ কেউ নিজস্ব বুদ্ধি দিয়ে কাজ করে। আবার
কেউ কেউ অন্য লোক হতে পরামর্শ চায়। এখানে সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ ও
গুরুত্বপূর্ণ দশটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আপনারা ধারাবাহিকভাবে
প্রত্যেক ধাপ করতে চেষ্টা করবেন। যদি ধাপটি সমস্যাকে লঘু না করে তবে পরবর্তী
ধাপ আরম্ভ করবেন।
ধাপ ১: সমস্যাটি চিহ্নিত করুন।
যদি সমস্যা চিহ্নিত করতে না পারা যায় তাহলে তা সমাধান করতে পারবেন না। আপনি
ব্যবহারকারীকে প্রশ্ন করে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারেন। এখানে কতকগুলো নমুনা
প্রশ্ন দেয়া হলো যা নির্ধারণ করবে কোন ধরণের সমস্যা হয়েছে। আপনি যদি টেকনিশিয়ান
হয়ে থাকেন তাহলে নিচের প্রশ্নগুলো করতে পারেন।
- আপনি কি আমাকে সমস্যাটি দেখাতে পারেন?
এই প্রশ্নটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নটি ব্যবহারকারীকে বলে দেয় কোথায় এবং কখন
সমস্যাটি ঘটেছে।
- সমস্যাটি কত ঘন ঘন ঘটে?
এই প্রশ্নটি একবার ঘটে এমন সমস্যা কিনা তা প্রকাশ করে (সাধারণতঃ তা Soft memory
error বা সেরকম) অথবা এটি কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণে ঘটে কিনা (সাধারণতঃ তা
গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করে যা Software installation বা Hardware পুনঃস্থাপন
দ্বারা সমাধান করা যায়)।
- সম্প্রতি কি কোন নতুন সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে?
নতুন Software চলমান সমস্যার সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ণ হতে পারে। এটা সাধারণতঃ
Windows program-এর ক্ষেত্রে সত্য। একটি নতুন Windows program একটি প্রয়োজনীয়
DLL File-কে Over write করে নতুন Verson- এর একই নামে যা পুরাতন Program কে
অকেজো করে দেয়।
- সম্প্রতি কম্পিউটারে কি অন্য কোন পরিবর্তন করা হয়েছে?
যদি উত্তর "হ্যাঁ" হয় তবে ঠিক কখন পরিবর্তন করা হয়েছিল তা স্মরণ করতে পারে কিনা
জিজ্ঞাসা করবেন। তারপর প্রশ্ন করবেন ঠিক কখন সমস্যাটি আরম্ভহল। যদি দু'টি সময়েই
একই ধরণের হয় তবে সমস্যাটি কম্পিউটারে পরিবর্তনের ফলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
Hardware component সঠিক ভাবে Install করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ধাপ ২: প্রথমে সহজ জিনিসগুলি পরীক্ষা করুন।
এ ধাপটি বেশির ভাগ টেকনিশিয়ান ব্যবহার করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের
সমস্যাগুলো কিছু সাধারণ সমস্যার ফলাফল। টেকনিশিয়ানরা তাতে ভালভাবে লক্ষ্য
করবেন। কারণ, তারা এতই সাধারণ যে সমস্যা হিসাবে তাদের নির্ধারণ করা যায় না। এ
ধরণের সাধারণ সমস্যাগুলোর গুটি কয়েক হলো-
- কেবল প্লাগ করা আছে কি?
Cable গুলোর উভয় প্রান্তেই ভালভাবে Flug করতে হবে যাতে সঠিকভাবে চলতে পারে।
Cable গুলোর স্থানচ্যুতি হতে পারে এবং অসাবধানতা বশতঃ তাদের Socket হতে খুলে
যেতে পারে।
- এটা কি চালু আছে?
এই ঘটনাটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘটে। আমরা সকলেই কমবেশি এই সমস্যাতে ভোগী।
সঠিকভাবে চলতে হলে কম্পিউটার এবং তাদের Peripheral কে On করতে হবে। অধিকাংশ
Power switch এর LED থাকে যা Power-কে On করলে জ্বলে উঠে।
- সিস্টেম কি প্রস্তুত?
কম্পিউটার ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে। এই প্রস্তুত বলতে বুঝায়
যে System-কে ব্যবহারকারী নির্দেশ গ্রহনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
কম্পিউটারটি প্রস্তুত কিনা তা Operating system screen পর্দায় ভেসে উঠা এবং
Menu বা Command prompt-এর উপস্থাপন দ্বারা নির্দেশ করে। যদি কম্পিউটারটি
Graphical interface ব্যবহার করে তবে Mouse pointer-এর আগমন দ্বারা বুঝা যায় যে
এটি প্রস্তুত, Printer তখনই প্রস্তুত যখন Front (সামনের) Panel-এ “On line” বা
“Ready light” লাইট জ্বলে ওঠে।
- চিপস এবং তারগুলি রিসেট করুন।
আপনি Case খুলে ফেলে প্রত্যেক Socket chip-কে চাপ দিয়ে কিছু গুরুতর সমস্যার
(যেমন Random. hang, UPS or errors) সমাধান করতে পারেন। এ ধরণের কাজ পূর্বে
উল্লেখিত 'Chip creep" সমস্যা প্রতিকার সাধন করে। তা ছাড়া সকল Cable ভালভাবে
কাজ করছে কিনা এটা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক Cable-কে পুণঃস্থাপন করতে হবে।
ধাপ ৩: ব্যবহারকারীর ত্রুটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
অধিকতর সাধারণ ভুলগুলোর একটি হলো "EEOC Errors (Equipment Exceeds Operator
Capability)। এটি একটি সাধারণ ঘটনা কিন্তু প্রতিরোধ যোগ্য। এই সমস্যা চিহ্নিত
করণের উপায় হলো যদি কোন ব্যবহারকারী বলে যে সে কিছু সাধারণ কাজ করতে পারছে না
যেমন-আমি আমার File save করতে পারছি না, আমি প্রিন্ট করতে পারছি না, আমি আমার
পছন্দসই Application চালাতে পারছি না ইত্যাদি। যখনই এ ধরণের কথা শোনা হয় ভবে
ব্যবহারকারীকে প্রশ্ন করে নিশ্চিত করা উচিত যে এটি EEOC Error না কি Real
problem এ সমস্যার ক্ষেত্রে একটি সুন্দর তম প্রশ্ন হলো "আপনি কি পূর্বে এ কাজটি
করেছেন?" যদি উত্তর না হয় তবে নিশ্চিত এটি EEOC। যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তবে আপনাকে
অন্য প্রশ্ন করতে হবে।
ধাপ ৪: কম্পিউটার রিবুট করুন।
এটি আশ্চর্য্যজনক যে কিভাবে কম্পিউটার Reboot সমস্যা সমাধান করে। কম্পিটার
Reboot করণ মেমোরি পরিষ্কার করে এবং কম্পিউটারকে একটি পরিচ্ছন্ন State হিসাবে
চালু করে। যখনই আমি ফোনে কাউকে সহায়তা করি তখন তাকে কম্পিউটার Reboot করতে এবং
পুনরায় চেষ্টা করতে বলি। অন্য সমস্যা না হলে তাই সমস্যাটিকে সমাধান করবে।
ধাপ ৫: সমস্যাটি হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার সম্পর্কিত কিনা তা নির্ধারণ করুন।
এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি নিশ্চিত করে কম্পিউটারের কোন অংশে আপনি
Trouble shooting skill কে প্রয়োগ করাবেন। প্রত্যেক অংশেরই ভিন্ন ভিন্ন Skill ও
Tool প্রয়োজন হয়। সমস্যাটি Hardware বা Software সম্পর্কিত কিনা তা নিরূপণ করতে
আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে যা সমস্যাটিকে হ্রাস করবে। উদাহরণস্বরূপ,
সমস্যাটি কি সুস্পষ্টভাবে নিজেই দেখা দেয় যখন আপনি Hardware এর একটি নির্দিষ্ট
অংশ (যেমন-Modem) ব্যবহার করেন? যদি তা হয় তবে সমস্যাটি Hardware সম্পর্কিত
ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই ধাপটি অন্যান্য ধাপের চেয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। আপনি
নিঃসন্দেহে অনেক অদ্ভুত Software Problem এর সম্মুখীন হবেন। প্রত্যেকেরই
নির্দিষ্ট সমাধান আছে। কিছু ক্ষেত্রে Reinstallation কিংবা Operating System এ
পুনপ্রবেশের প্রয়োজন হয়।
ধাপ ৬: যদি সমস্যাটি হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত হয়, তাহলে কোন উপাদানটি ফেল হচ্ছে তা নির্ধারণ করুন।
Hardware সমস্যা খুঁজে বের করা খুবই সহজ, যদি Modem কাজ না করে এবং আপনি জানেন
যে এটি Software গত সমস্যা নয় তবে এটি নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সম্ভবত Hardware
এর অংশ হিসেবে Modem টিকে সরিয়ে নতুন একটি Modem পুনরায় স্থাপন করতে হবে। কিছু
নতুন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে, অনেক Components হল Motherboard এ স্থাপন করা। যদি
আপনি কম্পিউটারে কোন Hardware Component-কে অচল পান তবে ঐ Component টি
Motherboard এ স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। (উদাহরণস্বরূপ, Parallel port
দিয়ে নতুন একটি Circuit) এবং সেক্ষেত্রে পুরো Motherboard কেই পুনরায় স্থাপন
করতে হবে। এটি অবশ্যই ব্যয় বহুল।
ধাপ ৭: যদি সমস্যাটি সফটওয়্যার সম্পর্কিত হয়, তাহলে "ক্লিন" বুট করুন।
যদি আপনি Software সমস্যা সমাধানে অভিজ্ঞ হন তবে Dos-based কম্পিউটারের
ক্ষেত্রে সাধারণ Trouble shooting technique হল Boot "Clean" করা। এই ধাপ বলতে
বুঝায় কোন Third-port driver থাকে না এবং CONFIG.SYS AUTOEXEC.BAT বাবহার করে
এমন Bootable diskette সহায়তায় কম্পিটার চালু করা যদি এর সেই সমস্যাটি বা এর
সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তবে ধরা পড়বে। একবার যদি আপনি নিরূপণ করতে পারেন যে
সমস্যাটিতে অসামঞ্জস্যতা আছে তবে আপনি আরো নিরূপণ করতে পারবেন যে পূর্ব ধাপে
উল্লেখিত "REM" technique ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধানের সম্ভাবনা
কতটুকু।
ধাপ: সার্ভিস তথ্যের উৎস পরীক্ষা করুন।
যেহেতু আপনি এখন সমস্যাটি বের করতে পারবেন বা পারবেন না, তাই আমি একটা পুরাতন
প্রবাদ বলব। অন্য আরেকটি প্রবাদও আছে যেমন- If all else fails, read the
instructions:" (যদি সকল কিছু ব্যর্থ হয় তবে নির্দেশন অবলম্বন কর)। Service
manual বই হল সমস্যা সমাধান এবং Service information এর জন্য Instruction
(নির্দেশনা)। বর্তমানে নির্মিত প্রায় সকল কম্পিউটার Pheripheral এবং এর বই CD ও
Website আকারে Service documentation থাকে। যেগুলো দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং
Sercive center Internet এর সহায়তা নেয়।
ধাপ ৯: যদি এটি ভেঙে না যায়।
ডাক্তার যখন কোন Hippocratic শপথ গ্রহন করে তখন সেই প্রতিজ্ঞা করে যে রোগীকে
যতটুকু অসুস্থ তার চেয়ে বেশি অসুস্থ হতে দেবে না। টেকনিশিয়ানদেরও উচিত সেই
ধরণের শপথ করা। এটি লঘু করে "If it isn't broke don't fix it" এই তথ্য কে যখন
আপনি Trouble shoot করবেন তখন একই সময়ে শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন ঘটাবেন। যদি এই
পরিবর্তনের ফলে সমাধান না হয় তবে অন্য আরেকটি পরিবর্তন ঘটানোর পূর্বে তাকে
পূর্বতন অবস্থায় ফিরিয়ে নেবেন।
ধাপ ১০: সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করুন।
যদি আপনি উত্তর না জানেন তবে অন্যকোন টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিবেন। তারা হয়ত
আপনার সমস্যাটির সমাধান করতে পারবেন। এই ঘটনায় বিনয় প্রকাশ পায়। আপনাকে অবশ্যই
স্বীকার করতে হবে যে আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। এটি বলা হয়ে থাকে যে
জ্ঞানের শুরু হল "আমি জানি না" থেকে। যদি আপনি প্রশ্ন করেন তবে অবশ্যই উত্তর
পাবেন এবং সেই উত্তর থেকে আপনি শিখতে পারবেন। ভুল করা মূল্যবান যতক্ষন পর্যন্ত
আপনি সেখান থেকে শিখতে থাকেন।
সারাংশ।
Troubleshooting হল একটি শিল্প, যে কোন শিল্পের ক্ষেত্রেই পারদর্শীতা অভিজ্ঞতার
কারণেই সম্ভব। অধিক অভিজ্ঞ হতে হলে বেশি পড়তে হবে, চর্চা করতে হবে এবং প্রশ্ন
করতে হবে।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url