ডেঙ্গু জ্বরের কারণ - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু হলো ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত একটি রোগ জ্বর। সাধারণত একধরণের এডিস প্রজাতির (Aedes aegypti বা Aedes albopictus) মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর মানুষের মধ্যে ছাড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এই মশা জিকা, চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য ভাইরাসও ছড়ায়। আমাদের আশেপাশে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে জমে থাকা পানিতে মশা জন্মগ্রহণ করে। ডেঙ্গু ভাইরাসের চার ধরনের সেরোটাইপ থাকে কোন ব্যক্তি যে ভাইরাস দ্বারা প্রথমে আক্রান্ত হয়, সেই ভাইরাসের বিরূদ্ধে তার দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরী হয়।

ডেঙ্গু জ্বরের কারণ - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার এজন্য কোন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় চার বারের মতো ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যে ব্যক্তিরা পূর্বে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্ত হলে তা মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী এডিস মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এই ভাবে একজন থেকে অন্য জনে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে।

ডেঙ্গু শব্দের উদ্ভব

“ডেঙ্গু” শব্দের উদ্ভব পরিষ্কার নয়, তবে ধারণা করা হয় যে শব্দটি (Swahili) শব্দ (কা-ডিঙ্গা পেপো) থেকে এসেছে যার অর্থ দুষ্ট আত্মার কারণে ঘটিত রোগ। সোয়াহিলি শব্দ “ডিঙ্গা” খুব সম্ভব স্পেনীয় শব্দ। “ডেঙ্গু”র অর্থ খুঁতখুঁতে বা সাবধানী, যা ডেঙ্গু জ্বরে হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তির চলনকে বর্ণনা করে। তবে, এটাও সম্ভব যে এই স্পেনীয় শব্দের ব্যবহার একই উচ্চারণের সোয়াহিলি থেকে এসেছে। বলা হয়ে থাকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রীতদাসদের মধ্যে যারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্ত হ’ত তাদের ভঙ্গি ও চলন ড্যান্ডি বা (নৌকা)র মত হয়ে যেত তাই রোগটি “ডান্ডি জ্বর” নামে পরিচিত ছিল।

১৭৮০ সালের ফিলাডেলফিয়ার মহামারীর উপর গবেষনা করে ১৭৮৯ সালে লিখিত এক রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিদ বেঞ্জামিন রাশ সর্ব প্রথম “ব্রেক বোন ফিভার” শব্দটি ব্যবহার করেন। সেই রিপোর্টে তিনি মূলতঃ “বিলিয়াস রেমিটিং ফিভার”শব্দটি ব্যবহার করেন। অন্যান্য ঐতিহাসিক শব্দের মধ্যে রয়েছে “ব্রেকহার্ট ফিভার” এবং “লা ডেঙ্গু”। প্রবল রোগের শব্দাবলীর মধ্যে রয়েছে "ইনফেকচুয়াস থ্রম্বোসাইটোপেনিক পার্পারা" এবং "ফিলিপাইন", "থাই", বা "সিঙ্গাপুর হেমোরেজিক ফিভার"।

ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি?

‘ডেঙ্গু’ এর সমার্থক শব্দ ‘ডেঙ্গি’। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। ডেঙ্গুর অপর নাম "breakbone" জ্বর যা সংশ্লিষ্ট মাংসপেশি ও অস্থি সন্ধিতে ব্যথা থেকে আসে। সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে। কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি মশকী প্রধানতম। সাধারণত, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণ - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সাধারণত উপক্রান্তিয় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের গ্রীষ্ম-প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রাদর্ভাব বেশি লক্ষ করা যায়। সময় এবং অঞ্চল-বিশেষে এই রোগ মহামারির আকারও ধারণ করতে পারে। বিনা চিকিৎসায়, ভুল চিকিৎসায়, এমনকি দেরিতে চিকিৎসার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হথে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকার বা টাইপ

ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধরন বা ক্যাটাগরি আছে‘এ’, ‘ব’ ও ‘সি’। ক্যাটাগরি ‘এ’: এই ক্যাটাগরি রোগীরা সাধারণত স্বাভাবিক ভাবেই জীবনযাপন করতে পারে। তাদের শুধু জ্বর হয়ে থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বিশ্রাম নিলে ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যায়।
ক্যাটাগরি ‘বি’:এই ক্যাটাগরির রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিস, অন্তঃসত্ত্বা, জন্মগত সমস্যা, কিডনি বা লিভারের সমস্যা সমস্যা আছে তাদের ডেঙ্গুর কিছু লক্ষণ যেমন- পেটে ব্যথা, বমি দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত।
ক্যাটাগরি ‘সি’:এই ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। এতে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ

আমরা জানি যে, ডেঙ্গু (DENG-gey) জ্বর হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-ঘটিত রোগ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প কিছু ক্ষেত্রেই রোগের প্রভাব গভীর হয়।
ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ গুলি হল
ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো- জ্বর। ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। সেই সঙ্গে শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‌্যাশ) বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
  • রোগী তীব্র মাথার যন্ত্রণা অনুভব করতে পারে।
  • মাথাঘোরা।
  • চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি
  • মাংসপেশি ও হাড়ের সংযোগ স্থলে ব্যাথা বা যন্ত্রণা অনুভুত হতে পারে।
  • বমিবমি ভাব হতে পারে।
  • গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
প্রথমবার আক্রান্তের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ গুলি রোগ সংক্রমণের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত উপসর্গ স্থায়ী হতে পারে। দ্বিতীয় বার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হলে রোগের ভয়াভয়তা বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই কারণে পূর্বে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়।
ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ
  • ক্রমাগত বমি হওয়া।
  • মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত।
  • প্রস্রাবে এবং মলের সাথে রক্তপাত।
  • অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা।
  • ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (যা ক্ষতের মতো দেখাতে পারে)।
  • দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস।
  • ক্লান্তি, বিরক্তি এবং অস্থিরতা।
ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়। রক্ত প্রবাহে ক্লট-তৈরির কোষগুলির (প্ল্যাটলেট) সংখ্যা কমে যেতে থাকে। যার ফলে মানুষের শরীরে শক লাগা, শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত, যে কোন অঙ্গের ক্ষতি এবং শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রোগীর শরীরে গুরুতর উপসর্গ গুলির কোন একটি দেখা দিলে খুব দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত বা রোগী কে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানোে উচিত। অন্যথায় রোগীর প্রাণসংকট হতে পারে।

ডেঙ্গুতে প্লাটিলেটের সংখ্যা সাধারণত কত হয়?

স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সম্পন্ন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্লাটিলেট সংখ্যা প্রায় ১.৫ লক্ষ থেকে ৪.৫ লক্ষ প্রতি microliter রক্তে হয়ে থাকে।। উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীদের এই সংখ্যা ২০,০০০ এর নিচে চলে যেতে পারে। এই সময় রক্তপাতের ঝুঁকি সর্বোচ্চ হয়। মাঝারি ঝুঁকি পূর্ণ রোগীদের প্লাটিলেট সংখ্যা ২১-৪০,০০০/cumm মধ্যে থাকে। অবশ্য ডেঙ্গু সংক্রমণে অনেক ক্ষেত্রেই প্লাটিলেট সংখ্যার দ্রুত পরিবর্তন হয়। প্লাটিলেটের কাউন্ট কম এবং রক্তক্ষরণের লক্ষণ প্রকাশ পেলে, বিশেষ কর প্লাটিলেট ২০,০০০ এর কম হলে তবেই প্লাটিলেট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। অন্যথায় সংক্রমণ কমার সাথে সাথে রোগীর শরীরে স্বাভাবিক ভাবে প্লাটিলেট কাউন্ট বৃদ্ধি পায়। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফোলেট এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহন করা উচিত।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গুর চিকিৎসার বিশেষ কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘরোয়া চিকিৎসাতেই কমে যায়। চিকিৎসকরা পেরাসিটামিল জাতীয় ওষুধ দিয়ে যন্ত্রণা এবং জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন। Non-steroidal প্রদাহ-প্রতিরোধী ওষুধের রক্ত ক্ষরণের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রোগের মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেলে রোগী কে হসপিটালে ভর্তি এবং ডাক্তারি নজরদারি তে রাখা একান্ত জরুরী। হসপিটালে ডেঙ্গু রোগীদের শিরায় (IV) ইলেক্ট্রোলাইট (লবণ) / নরমাল স্যালাইন দেওয়া হয়। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণের যোগান বজায় থাকে।

বাড়িতে কী করবেন

  • পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
  • প্রচুর তরলজাতীয় (Liquid) খাবার গ্রহণ করতে হবে। একটু পরপর ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন পান করুন।
  • ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি–সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় এ–জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের জন্য ডায়েট

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের জন্য, নিম্নে বর্ণিত পুষ্টি উপাদান বিশেষ ভাবে উপকারী হতে পারে,
যেমন:
  • ভিটামিন সি (সাইট্রাস ফল, বেরি এবং শাক-সবজিতে পাওয়া যায়)
  • জিঙ্ক (সামুদ্রিক খাবার, মটরশুটি এবং বাদামে পাওয়া যায়)
  • আয়রন (মাংস, মটরশুঁটিতে পাওয়া যায়)
  • ওটমিল (সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ)
  • পেঁপে / পেপে পাতার জুস।
  • নারিকেলের বা ডাবের পানি
  • শরীরকে হাইড্রেট করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা দরকার ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কোন বিশেষ লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় বাড়ি তে থেকেই এই রোগের নিরাময় করা সম্ভব। শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই রোগীকে হসপিটালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। সেই ক্ষেত্রেও ১–২ সপ্তাহের মধ্যে রোগী ভাল হয়ে যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা থাকে। এই রোগ সম্বন্ধে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি ভীষণ জরুরী। সামান্য কিছু উপায় মেনে চললে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করেতে পারি। এই রোগ লোকালয়ে ছড়িয়ে পরার হাত থেকে সহজেই নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url