ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার কি-ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধা ও অসুবিধা
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) বর্তমান আধুনিক যুগে অর্থ ট্রান্সফারে
ক্ষেত্রে একটি সাধারণ অংশে পরিনত হয়েছে। (EFT) সিস্টেম ব্যক্তি, ব্যবসা এবং
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্থ স্থানান্তরের পদ্ধতিকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়েছে। এই
সিস্টেম ট্রাডিশনাল পেমেন্ট পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত এবং আরও সুবিধাজনক পেমেন্ট
সিস্টেম। ডিজিটাল ব্যাংকিং বৃদ্ধির সাথে সাথে, EFT দৈনন্দিন লেনদেন এবং
অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে চলেছে।
EFT আর্টিকেলে যা থাকবে
- ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার কি?
- ইএফটি (EFT)-এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
- ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধা ও অসুবিধা
- ইন্টারনেটে নিরাপদ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার কি?
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) হলো একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম যেখানে
কম্পিউটার-ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহার করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য
অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এই লেনদেনগুলো একই বা ভিন্ন ব্যাংকের
মধ্যে হতে পারে এবং এর জন্য কোনো কাগজের নথির প্রয়োজন হয় না। EFT একটি
স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া যা বেতন জমা, অনলাইন কেনাকাটা এবং বিল পরিশোধের মতো
বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাংকিং এবং খুচরা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) বা
ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমস্ ইলেকট্রনিক কমার্স সিস্টেম-এর একটি বৃহৎ
অংশ দখল করে রয়েছে। ইএফটি (EFT) সিস্টেমস্ ব্যাংক এবং ব্যবসায় ও তাদের
ক্রেতাদের মধ্যে অর্থ গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে বিচিত্র
সব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংকিং নেটওয়ার্কস ব্যাংকের অফিসগুলোতে অবস্থিত টেলার টারমিনাল
(Teller Terminal) এবং অটোমেটেড টেলার মেশিন (Automated Teller Machines ATM)
চালু রাখতে সহায়তা (Support) প্রদান করে। ব্যাংকগুলো ব্যাংক কাস্টমারদের তাদের
টেলিফোনকে টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহার করে পে-বাই-ফোন (Pay-by-Phone) সেবার
মাধ্যমে ইলেকট্রনিকভাবে বিল প্রদানে ও সহায়তা করতে পারে।
ইএফটি (EFT)-এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
ইএফটি (EFT)-এর গুরুত্বপূর্ণ/বৃহৎ উপাদানসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলঃব্যাংকিং এবং ফিনানশিয়াল (আর্থিক) পেমেন্টঃ
- বড় আকৃতির বা পাইকারী ধরণের পেমেন্ট (যেমন- ব্যাংক থেকে ব্যাংকে পরিশোধ)।
- ছোট আকৃতির বা খুচরা ধরণের পেমেন্ট (যেমন- অটোমেটিক টেলার মেশিন বা ATM)।
- হোম ব্যাংকিং (যেমন- বিল পরিশোধ)।
- ক্রেডিট কার্ড (যেমন- VISA, Master Card ইত্যাদি)।
- ব্যক্তিগত ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড (যেমন- JC Penny Card)।
- চার্জ কার্ড (যেমন- American Express)।
- টোকেন (Token) ভিত্তিক পেমেন্ট ব্যবস্থা।
- ইলেকট্রনিক ক্যাশ (যেমন- Cyber Coin)।
- ইলেকট্রনিক চেক (যেমন- Netcheque)।
- স্মার্ট কার্ড বা ডেবিট কার্ড (যেমন- Morden Electronic Currency)।
এনক্রাইন্টড (Encrypted) ক্রেডিট কার্ড (যেমন- SSL, Cyber Cash অথবা SET এনক্সিপশন)।
থার্ডপার্টি অথরাইজেশন নম্বর (যেমন- First Virtual)।
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধা ও অসুবিধা
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে দ্রুত লেনদেন এবং নগদ অর্থের উপর
নির্ভরশীলতা হ্রাসের মতো বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, যা আর্থিক কার্যক্রমকে
আরও সুবিধাজনক করে তোলে। তবে, সুবিধার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত নির্ভরতা এবং
সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মতো চ্যালেঞ্জও রয়েছে। EFT-এর সুবিধা ও অসুবিধা
বোঝার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের উপর নির্ভর করার
সময় সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। নিম্নে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর
সুবিধা ও অসুবিধা বর্ণনা করা হলোঃ
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধাঃ
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার দ্রুত, সুবিধাজনক এবং নিরাপদে অর্থের লেনদেন
নিশ্চিত করে, যা দৈনন্দিন আর্থিক কাজগুলোকে অনেক সহজ করে তোলে। EFT-এর ডিজিটাল
প্রকৃতি কাগজপত্রের কাজও কমায় এবং নগদ অর্থ পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিও
কমায়। নিম্নে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর সুবিধা গুলো দেওয়া হলোঃ
১. গতি এবং সুবিধাজনকঃ
ব্যাংকে না গিয়ে বা কাগজপত্র না নিয়ে EFT ইউজারদের দ্রুত টাকা পাঠাতে এবং
গ্রহণ করতে সাহায্য করে। EFT-এর মাধ্যমে লেনদেন যেকোনো সময় সম্পন্ন করা যায়,
ফলে নিয়মিত ব্যাংকিং সময়ের বাইরেও আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করা সহজ হয়।
২. ত্রুটি বা চুরির ঝুঁকি হ্রাসঃ
যেহেতু EFT-তে নগদ অর্থ বহন বা কাগজের চেক ইস্যু করার প্রয়োজন হয় না, তাই
ক্ষতি, চুরি বা ভুল জায়গায় অর্থ স্থানান্তরের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কম
থাকে। EFT-তে সকল তথ্য ও লেনদেনের ডিজিটাল রেকর্ড থাকে ফলে, ট্রাডিশনাল
সিস্টেমের মত ম্যানুয়াল ত্রুটি ঘটেনা।
৩. হাই ট্রেসেবিলিটি এবং রেকর্ডঃ
প্রতিটি EFT লেনদেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নথিভুক্ত হয়, যার ফলে ট্রানজেকশন
ট্র্যাক করা এবং আর্থিক রেকর্ড রাখা সহজ হয়। এই স্বচ্ছতা ব্যবহারকারীদের
তাদের ব্যয় নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করে এবং সংস্থাগুলোকে নিরীক্ষণ এবং
প্রতিবেদনে সহায়তা করে।
৪. ব্যবহারকারী এবং ব্যবসা উভয়ের জন্যই সাশ্রয়ীঃ
অনেক EFT পরিষেবার আছে যাদের লেনদেনের ফি কম অথবা কোনও ফি নেই, যা ব্যবহারকারীর
অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। EFT ব্যবসাগুলোর প্রশাসনিক কাজের জটিলতা কমায়,
কারণ তাদের আর ফিজিক্যাল পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বা লেনদেনের
জন্য কাগজে বিশদ হিসেব সমন্বয় করার প্রয়োজন হয় না।
৫. ক্যাশ বিহীন অর্থনীতিকে সমর্থন করেঃ
EFT ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করে, যা একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং আরও দক্ষ
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরীতে অবদান রাখে। এটি সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক
নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং জাল মুদ্রার প্রচলন কমাতেও সহায়তা করে।
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর অসুবিধা
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম সুবিধাজনক হলেও, এটি ব্যবহারকারীদের
প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন করতে পারে। এটি নির্ভরযোগ্য
ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের উপরও ব্যাপকভাবে নির্ভর করে, যা সবসময় সবার জন্য উপলব্ধ
নাও হতে পারে। নিম্নে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর অসুবিধা গুলো দেওয়া হলোঃ
১. প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের উপর নির্ভরতাঃ
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর বড় অসুবিধা হলো এটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ
এবং নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া কাজ করতে পারে না। যে সব এলাকায় দুর্বল
ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে সেখানে EFT ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়ে থাকেন।
২. সাইবার নিরাপত্তা হুমকির ঝুঁকিঃ
যদিও EFT সিস্টেমগুলো নিরাপদ থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবুও তারা অনলাইন
জালিয়াতি, হ্যাকিং এবং ফিশিং প্রচেষ্টার ঝুঁকিতে থাকতে পারে। ব্যবহারকারীদের
তাদের আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে এবং শক্তিশালী
নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
৩. সিস্টেমের সমস্যার সময় লেনদেনে বিলম্বঃ
কারিগরি ত্রুটি, সার্ভার ডাউনটাইম, অথবা রক্ষণাবেক্ষণের কারণে লেনদেন বিলম্বিত
হতে পারে। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অর্থপ্রদানের সময় এটি বড় অসুবিধার কারণ হতে
পারে।
৪. লেনদেন শুরুর পর সীমিত নিয়ন্ত্রণঃ
বেশিরভাগ EFT পেমেন্ট একবার প্রসেস করার পর, সহজে ফেরত পাঠানো যায় না। যদি ভুল
অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয় বা ভুলভাবে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে তা পুনরুদ্ধার
করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
৫. নির্দিষ্ট লেনদেনের জন্য সম্ভাব্য পরিষেবা চার্জঃ
যদিও অনেক EFT পদ্ধতি বিনামূল্যে, কিছু ব্যাংক বা পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম
নির্দিষ্ট ট্রানজেকশন বা উচ্চ-মূল্যের লেনদেনের জন্য ফি প্রয়োগ করতে পারে। যে
সকল ইউজার বেশি EFT ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই চার্জগুলো আরও বাড়তে
পারে।
ইন্টারনেটে নিরাপদ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট
বর্তমানে ইন্টারনেট কমার্সের ক্ষেত্রে অন্যতম দৃশ্যমান ও বিতর্কিত আলোচ্য বিষয়
হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনের নিরাপত্তা। যেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে
নিরাপত্তা সন্তুষ্টিজড়িত সেক্ষেত্রে ছোট একটি সমস্যা প্রতীয়মান হয় যে ভোক্তা
এবং ব্যবসায়ী কিভাবে একে অন্যের সাথে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মান বজায় রাখবে,
এক্ষেত্রে যান্ত্রিক কাঠিন্য সমাধানযোগ্য হতে হবে।
যখন একজন ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে অনলাইন-এ ক্রয় করে তখন তার ক্রেডিট কার্ড
নেটওয়ার্ক স্নাইফারস্ (Srifiers) সফটওয়্যার কর্তৃক অভিগ্রহণের ফলে অরক্ষিত
অবস্থায় থাকে যা সহজে ক্রেডিট কার্ড ফরমেট চিনতে পারে। নিরাপত্তা সমস্যা
সমাধানকল্পে বিভিন্ন মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়ঃ
- ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীর মধ্যে ডাটা বিতরণ এনক্রাইপটিং বা Encrypting (কোড এবং ক্রামরিং /Scrambling) করা।
- ক্রেতা এবং ক্রেডিট কার্ড লেনদেন অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির মধ্যে ডাটা বিতরণ এনক্রাইপটিং করা।
- স্পর্শকাতর (Sensitive) তথ্য অফলাইনে দেয়া।
অনেক কোম্পানি নেটস্কেপ কমিউনিকেটর (Netscape Communicator) কর্তৃক উন্নয়নকৃত
সিকিউর সকেট লেয়ার (Secure Socket Layer SSL) নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করে যা
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর ওয়েভ ব্রাউজার এবং ব্যবসায়ীর সার্ভার-এর মধ্যে
ডাটা বিতরণ এনক্রাইন্ট (Encrypt) করে। তথাপি, স্পর্শকাতর তথ্য তখনও অরক্ষিত
থাকে এবং অপব্যবহার হতে পারে যখন একটি ডিক্রাইন্ট (Decrypt ডিকোড এবং
আনস্ক্রামবলড) হয় এবং ব্যবসায়ীর সার্ভারে জমা হয়।
তাই ডিজিটাল ওয়ালেট এপ্রোচ (Digital Wallet Approach) যেমন- সাইবার ক্যাশ
পেমেন্ট সিস্টেম (Cyber Cash Payment System) -এর উন্নয়ন ঘটেছে। এই পদ্ধতির
মাধ্যমে যে কেউ ওয়েব ব্রাউজারে এ্যাড-অন মডিউল (Add-on module) নিরাপত্তা
সফটওয়্যারযুক্ত করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীর ব্রাউজারকে এমনভাবে ক্রেডিট
কার্ডের ডাটা এনক্রাইপট (Encrypt) করার সুযোগ দেয় যাতে ক্রেডিট কার্ড লেনদেন
পরিচালনাকারী ব্যাংক ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে ডাটা দেখতে পারে।
আরেকটি নিরাপত্তা ম্যাকানিজম হলো সিকিউর হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল
(SHTTP)। ওয়েব ক্লায়েন্ট (Web Client) এবং সার্ভার এর মধ্যে নিরাপদ কথাবার্তা
নিশ্চিত করতে SHTTP এনক্রাইপশন স্কীম (Encryption Scheme)-এর ধরণ বুঝে কাজ করে
এবং ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার-এর মধ্যে ব্যবহৃত হয়। উন্নত নিরাপত্তার জন্য SHTTP
এবং SSL উভয়ই ব্যবহৃত হতে পারে। ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিকিউরিটির ক্ষেত্রে আরেকটি
পদ্ধতি হলো সিকিউরিটি ইলেট্রনিক ট্রানজেকশন (Security Electronic Transaction
বা SET)।
এই পদ্ধতিতে ই-কমার্স সফ্টওয়্যার প্রক্যেকটি লেনদেনের জন্য পেমেন্ট ডিটেলস্
নির্দিষ্ট করে ডিজিটাল সার্টিফিকেট এর ডিজিটাল এনভিলপ (Digital Envelope)
এনক্রাইপ করে। SET অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে VISA, Master Card, IBM,
Microsoft, Netscape এর সাথে চুক্তিবদ্ধ। এজন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ ইলেকট্রনিক
পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে SET' আদর্শ হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।
অন্যান্য ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে মাইক্রো পেমেন্ট সিস্টেম যেমন- ডিজিটাল
ক্যাশ এবং সাইবার কয়েন (Digital Cash & Cyber Coin) জড়িত। এই প্রযুক্তিগুলো
ডিজিটাল মুদ্রা বা ডিজিটাল ক্যাশ তৈরি করে যাকে ই-ক্যাশ (E-cash) বলে। এগুলো
ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের মাধ্যমে পেমেন্টের জন্য অত্যন্ত ছোট। ডাটার স্ট্রিং
(String of Data) জেনারেট করতে এনক্রিপশন এবং অথেনটিকেশন কৌশল ব্যবহার করা হয়
যা ক্যাশ পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ, ESPNET Sports Zone, Discovery Online এবং Rocket Science Games
এর মত ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল ক্যাশের মাইক্রোপেমেন্ট সিস্টেম
ব্যবহারের মাধ্যমে সুপারস্টার বা বিখ্যাত তারকাদের সাথে সাক্ষাত (Chat) করার
ভিডিও ক্লিপ ডাউনলোড করার অথবা ভিডিও গেমস খেলার সুযোগ প্রদান করে।
সচরাচর জিজ্ঞাসাঃ
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার কি?
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) হলো একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম যেখানে
কম্পিউটার-ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহার করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য
অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এই লেনদেনগুলো একই বা ভিন্ন ব্যাংকের
মধ্যে হতে পারে এবং এর জন্য কোনো কাগজের নথির প্রয়োজন হয় না। EFT একটি
স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া যা বেতন জমা, অনলাইন কেনাকাটা এবং বিল পরিশোধের মতো
বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
EFT করলে কত সময় লাগে?
ইএফটি (EFT) করতে সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
EFT মাধ্যমে লেনদেনগুলো, লেনদেনের ধরণ এবং ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভর করে।
বাংলাদেশ থেকে অন্য ব্যাংকে ইএফটি করতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে,
কিন্তু এনপিএসবি (NPSB) ব্যবহার করলে ২৪/৭ টাকা পাঠানো যায় (ব্যাংকিং সিস্পেম
বা ইন্টারনেটের সমস্যা ব্যতিত)।
বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) কী?
বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (BEFTN) হলো একটি বাংলাদেশি
ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম বা মোড, যা বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের
মধ্যে ব্যবহৃত হয়। বিইএফটিএন হলো রেগুলার ট্রান্সফার সিস্টেম। এর মূল উদ্দেশ্য
হলো ব্যাংক গুলোর মধ্যে অর্থ স্থানান্তর করা। বিইএফটিএন ব্যবস্থাটি ডেবিট এবং
ক্রেডিট নিষ্পত্তি করতে পারে।
BEFTN কত টাকা পাঠানো যায়?
BEFTN এর পূর্ণরুপ হলো Bangladesh Electronic Funds Transfer Network।
এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য BEFTN ব্যবহার হয়। কত টাকা
পাঠানো যায়: ছোট, মাঝারি—যেকোনো এমাউন্ট (হাজার/লাখও যায়)। BEFTN এর মাধ্যমে
টাকা পাঠাতে সাধারণত ১ কার্যদিবস (আজ পাঠালে অনেক সময় কাল পাবে) সময় লাগে।
Npsb তে সর্বোচ্চ কত টাকা ট্রান্সফার করা যায়?
NPSB-এর মাধ্যমে ব্যক্তি গ্রাহকদের জন্যঃ
প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩,০০,০০০ টাকা এবং দিনে সর্বোচ্চ ১০টি লেনদেনে মোট
১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ট্রান্সফার করা যায়।
কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্যঃ
প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ৫০০,০০০ টাকা এবং দিনে ২০টি লেনদেনে মোট ২৫,০০,০০০ টাকা
পর্যন্ত ট্রান্সফার করার সীমা রয়েছে।
ব্যক্তিগত গ্রাহকঃ
প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ: (3,00,000) টাকা।
প্রতি দিনে সর্বোচ্চ লেনদেনের সংখ্যা: ১০টি।
প্রতি দিনে সর্বোচ্চ মোট ট্রান্সফার: (10,00,000) টাকা।
কর্পোরেট গ্রাহকঃ
প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ: (5,00,000) টাকা।
প্রতি দিনে সর্বোচ্চ লেনদেনের সংখ্যা: ২০টি।
প্রতি দিনে সর্বোচ্চ মোট ট্রান্সফার: (25,00,000) টাকা।
NPSB কবে চালু হয়?
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১২ সালে NPSB ব্যবস্থা চালু
করে। NPSB এর পূর্ণরুপ হলো National Payment Switch Bangladesh। এইটি মূলত
কার্ড ভিত্তিক এবং অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম।
Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url