কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি আশ্চর্য হবেন। সহজলভ্য ফল গুলোর মধ্যে বারোমাসি ফল হিসেবে কলা অন্যত্যম। কলা খাওয়ার উপকারিতা বলে শেস করা যাবেনা। কাঁচা কলা সবজি হিসেবে এবং পাকা কলা ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আজকে আমরা এই অনুচ্ছেদে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা কে বলা হয় সুপার ফ্রুট। অনেকেই সকালের ব্রেকফাস্ট হিসেবে কলা খেয়ে থাকেন। একটা মাঝারি সাইজের কলাতে রয়েছে ১১০ ক্যালরি। কলাতে আরো রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন মিনারেল ইত্যাদি। কলাতে ফাইবারের পরিমাণও রয়েছে প্রচুর যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে কলাতে কোন ফ্যাট নেই।

পোস্টের সূচিপত্র: কলা খাওয়ার উপকারিতা

ভূমিকাঃ

কলা আমাদের কাছে সহজলভ্য একটি অতি পরিচিত ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। ক্যালরি ছাড়াও কলাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন ইত্যাদি। কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কলাতে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে কলা ব্যবহারিত হয়।
কাঁচা অবস্থায় এটি দেখতে সবুজ রঙের হয় এবং পাকলে হলুদ রঙের হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলার জাতের মধ্যে রয়েছে সাগর কলা, শবরী কলা,কাঁচা কলা ইত্যাদি। এক এক জাতের কলার মান এবং স্বাদ এক এক রকম। কিন্তু সব কলাতেই কিছু না কিছু পুষ্টিগুণ থাকে। আজকে আমরা জানবো কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

পাকা কলাতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্যঅনেক উপকারী। পাকা কলা খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো।
  • ত্বকের যত্নে পাকা কলার ভূমিকা রয়েছে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পাকা কলার ভূমিকা রয়েছে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে।
  • ক্ষুধা দূর করতে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে।
  • কিডনি ভালো রাখতে।
  • দ্রুত এনার্জি পেতে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে।

কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬ যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা কলাতে আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত একটি হলেও কাঁচা কলা খাওয়া উচিত। আজকে আমরা কাঁচকলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
  • কাঁচা কলা হজমে সহায়তা করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাচা কলার ভূমিকা রয়েছে।
  • শারীরিক ওজন কমাতে কাঁচা কলার তুলনা হয় না।
  • কাঁচা কলাতে ফাইবার থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • কাঁচা কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা অনেক উপকারী।
  • পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কাঁচা কলার ভূমিকা রয়েছে।
  • ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা ব্যবহৃত হয়।
  • ত্বকের যত্নে কাঁচা কলা ব্যবহৃত হয়।
  • রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা উপকারী।
  • হাড় মজবুত করতে কাঁচা কলার ভূমিকা রয়েছে।
  • ডায়রিয়া চিকিৎসায় কাঁচা কলা ব্যবহার করা হয়।
  • প্রতিদিন কাঁচা কলা খেলে বৃক্কের সমস্যা দূর হয়।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

কলা একটি ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ ঠান্ডা জাতীয় ফল। কলাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। রাতে কলা খাওয়া নিয়ে অনেকের অনেক মতামত রয়েছে। কেউ রাতে কলা খাওয়া উপকারী আবার কেউ রাতে কলা খাওয়া অপকারি হিসেবে দেখছেন। যাদের ঠান্ডা সমস্যা বা অ্যাজমা রয়েছে তাদের রাতে কলা না খাওয়ায় ভালো। আর যাদের অ্যাজমা বা ঠান্ডা সমস্যা নেই তারা নির্দ্বিধায় রাতে এই পুষ্টিকর ফলটি খেতে পারেন। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রাতে আমাদের ঘুমে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত রাত একটি করে কলা খেলে ঘুম ভালো হয়।

রাতে কলা খাওয়ার আরো উপকারিতা রয়েছে। রাতে কলা খেলে পাকস্থলীর এসিডের সমস্যা দূরীভূত হয়। অনেকের রাতে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে সেক্ষেত্রে রাতে একটি কলা খেতে পারেন। রাতে কলা খেলে মানসিক এবং শারীর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর সময় অনেকের পেশীতে ব্যথা অনুভূত হবে। পেশীতে ব্যথা অনুভবের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কেউ যদি নিয়মিত রাতে কলা খায় তাহলে তার পেশীর ব্যথা কমে যায়।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

সবচেয়ে সহজলভ্য ফল গুলোর মধ্যে বারোমাসি ফল হল। কাঁচা কলা সবজি হিসেবে এবং পাকা কলা ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আজকে আমরা এই অনুচ্ছেদে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

কলা কে বলা হয় সুপার ফ্রুট। অনেকেই সকালের ব্রেকফাস্ট হিসেবে কলা খেয়ে থাকেন। একটা মাঝারি সাইজের কলাতে রয়েছে ১১০ ক্যালরি। কলাতে আরো রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন মিনারেল ইত্যাদি। কলাতে ফাইবারের পরিমাণও রয়েছে প্রচুর যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে কলাতে কোন ফ্যাট নেই।

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন: কলা আমাদের কাছে সহজলভ্য একটি অতি পরিচিত ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। ক্যালরি ছাড়াও কলাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন ইত্যাদি। কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কলাতে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানলাম কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। যেহেতু কলাতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে সেহেতু এটি খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হবে। আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা, পাকা কলার পুষ্টিগুণ, কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা,ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকের এই অনুচ্ছেদটি পড়ে যদি আপনাদের উপকার হয় তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url