উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমানো একটি কঠিন কাজ। উচ্চ রক্তচাপ বর্তমান সমাজে একটি জটিল ও সাধারণ সমস্যা। অনেকেই দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় খোঁজার চেষ্টা করেন কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। বিভিন্ন ঔষধ সেবনে করা দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় হতে পারে কিন্তু অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
আজ আমরা জানবো ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় সমূহ। বর্তমানে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগেন। তাই উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরে অনেক জটিলতা বা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সকলেরই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। অনেক সময় শুধু মাত্র ঔষধ সেবনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। প্রিয় পাঠক চলুন জেনে নেওয়া যাক ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো।

আলোচ্য বিষয়ঃ- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়-দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

ভূমিকাঃ

বর্তমান সমাজে মানুষ উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় বেশি হবে ভোগেন। উচ্চ রক্তচাপ সমস্যার কারণে মানুষ বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকেন। ঔষধ সেবনের পরেও অনেকের উচ্চ রক্তচাপ বাহ হাই প্রেসার কমানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন বেছে নিলেই খুব সহজেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমানো সম্ভব হয়। প্রিয় পাঠক চলুন আজ আমরা জেনে নেই কিভাবে ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায় তার উপায় সমূহ।

উচ্চ রক্তচাপ কিঃ

হাইপারটেনশন (ইংরেজি: Hypertension) যার অর্থ হল উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপকে সংক্ষেপে কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘HTN’ , বা ‘HPN’ লেখা হয়ে থাকে।, উচ্চ রক্তচাপ হল একটি রোগ যখন কোন ব্যক্তির সবসময়ের স্বাভাবিক রক্তের চাপ চেয়ে ঊর্ধ্বে অবস্থান করে তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়।
হাইপারটেনশনকে প্রাথমিক (আবশ্যিক) হাইপারটেনশন অথবা গৌণ হাইপারটেনশনে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। প্রায় ৯০–৯৫% ভাগ ক্ষেত্রেই "প্রাথমিক হাইপারটেনশন" বলে চিহ্নিত করা হয়।

রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ বা উচ্চ রক্তচাপের কারণঃ

একজন মানুষের রক্তচাপ বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। কিংবা উক্ত রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে ভোগার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। একজন মানুষের যখন স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে অতিরিক্ত হয় তখনই তাকে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। নিম্নে হাইপারটেনশনের কিছু কারণ বর্ণনা করা হলো।
  • খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা।
  • মদ পান করা।
  • মোটা হয়ে যাওয়া বা শরীরের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়া।
  • ধূমপান করা।
  • পর্যাপ্ত শাকসবজি, ফলমূল এবং পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া।
  • রাতের বেলায় পর্যাপ্ত না ঘুমানো। একজন মানুষের 6 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
  • অতিরিক্ত চা , কফি বা ক্যাফিন-যুক্ত পানীয় পান করা।
  • উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ হলো বংশগত কারণ। বংশের কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মে উচ্চ রক্তচাপ হওয়া স্বাভাবিক।
  • যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা।
  • বয়স বেশি হলে বিশেষ করে ৬০ বা ৬৫ পার হলে উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার এর লক্ষণঃ

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় জানার আগে উচ্চ রক্তচাপ বাহাই প্রেসার এর কারণ কি সেটা জানতে হবে। হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে। মানব শরীরের ধমনী দিয়ে রক্ত সঞ্চালনের সময় রক্ত ধমনীর গায়ে যে চা প্রয়োগ করে সেটি হল রক্তচাপ। প্রাথমিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় না।
তবে অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ হলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। আপনার উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করুন। রক্তচাপ প্রধানত দুই প্রকার। একটি হলো সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার। অন্যটি হলো ডায়াস্টলিক ব্লাড প্রেসার। একজন মানুষের ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পেলে তার মাথা ঘুরতে পারে, ঘাড় টেনে ধরতে পারে, এমন কি পিঠে টানটান ভাব হতে পারে এবং মাথায় চক্কর দিয়ে পড়ে যেতে পারে।

120/80 mmHg এর প্রথম সংখ্যাটি বা'120' সংখ্যাটিকে সিস্টোলিক রক্তচাপকে বলা হয়। সিস্টোলিক রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের সময় ধমনীর দেওয়ালে রক্তের চাপকে বোঝায়। দ্বিতীয় সংখ্যা, অর্থাৎ '80' সংখ্যাটিকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়। এটি হৃৎপিণ্ডের পরপর দুই টি স্পন্দনের মধ্যবর্তী সময়ে ধমনীর দেওয়ালে রক্তচাপ কে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বোঝানো হয়। ব্লাড প্রেসার ওঠানামা করলেই যে তার হাই ব্লেড প্রেসার লো ব্লাড প্রেসার হয়েছে এটা বলা যাবে না। যেকোনো কারণে একজন ব্যক্তির ব্লাড প্রেসার বেশি বা কম হতে পারে। খেলাধুলা, হাঁটাহাঁটি, দুশ্চিন্তা এমনকি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় একজন ব্যক্তির ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে।
একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ‘120 / 80 mmHg’ হয়ে থাকে।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ 140/90 mmHg এর বেশী হতে পারে। 
একজন আশি বছর বা তার বেশি বয়স্কের মানুষের রক্তচাপ 150/90 mmHg এর বেশি থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায়ঃ

উচ্চ রক্তচাপ বা ধাতু তো হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আবার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। ঔষধ ছাড়াই কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায় তার কিছু উপায় নিচে আলোচনা করা হলো।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেঁতুলঃ

তেতুল একটি টক জাতীয় ফল যা আমাদের দেশে সারা বছরই হয়ে থাকে। তেতুল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেকাংশে ভূমিকা পালন করে। অনেকে ভুল ধারণা রয়েছে যে তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। আসলে তেতুল খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আসে। তেতুল অনেক রোগের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ওজন ও ফ্যাট কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে। তাই ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর আরেকটি সুন্দর ঘরোয়া উপায় হল তেতুল।

ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুনঃ

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য ক্যাফিন থেকে দূরে থাকুন। বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা চা কফি ইত্যাদি ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকুন।

গভীরভাবে শ্বাস নিনঃ

গভীরভাবে শ্বাস নিলে মানুষের মানসিক দুশ্চিন্তা দূরীভূত হয়। প্রাকৃতিকভাবে যদি রক্তচাপ কমাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে মানসিক চাপ কমাতে হবে। সেজন্য আপনাকে প্রথমে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে।

গোলমরিচ ব্যবহার করুনঃ

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে গোলমরিচ অনেক অংশে কাজ করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে গোলমরিচ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং এটি রক্তনালিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গরম পানির সাথে মধু ,লেবু এবং গোলমরিচ মিশিয়ে পান করুন।

নিয়মিত মেডিটেশন করুনঃ

চ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপনাকে নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয় এবং এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ধূমপান বর্জন করুনঃ

 উচ্চ রক্তচাপের একটি অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান বর্জন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এছাড়া ধুমপান করলে রক্তে নিকোটিন সহ অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপসহ হৃদরোগ হতে পারে।

নিয়মিত ইয়োগা ব্যায়াম করুনঃ

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হল নিয়মিত ইয়োগা ব্যায়াম করা। নিয়মিত ইয়োগা করলে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে। শরীরে প্রশান্তি আসে। এর ফলে প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমাতে রসুনঃ

উচ্চ রক্তচাপ হলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে এটা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুনের অনেক ভূমিকা রয়েছে। নিয়মিত রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরোপিয়ান এক জার্নালের সমীক্ষা অনুযায়ী রসুনে থাকে অ্যালিসিন রিঅ্যাক্টিভ যৌগ যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
অনেকে মনে করেন দুই থেকে তিন কোয়া প্রতিদিন রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে রসুন যে শুধু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে তা নয়, রসুন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তাই সুস্থ থাকতে অবশ্যই সবাইকে নিয়মিত রসুন খেতে হবে। রসুন হলো ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর একটি উপায়।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমানোর ব্যায়ামঃ

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে হৃদযন্ত্র শক্তিশালী হয় এবং হৃদযন্ত্র শক্তিশালী হলে সেটা বেশি রক্ত সরবরাহ করে থাকে। এরফলে রক্তচাপ কমতে থাকে। ওজন সঠিক থাকলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে সেজন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভারী ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। ভারী ব্যয়াম করলে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায় এবং এর সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাই ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর আরেকটি উপায় হল নিয়মিত ওয়ার্ম আপ ব্যায়াম করা।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমাতে লেবুঃ

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবুর ভূমিকা রয়েছে অনেক। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু যে ভূমিকা পালন করে অনেকেই সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি লেবুর ভূমিকা রয়েছে অনেক। বলা হয়ে থাকে যে লেবু এবং পানি খেলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকাংশই কমে যায়। লেবু রক্ত না লিখে নমনীয় করে তুলে। যার ফলে রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। লেবু পানিতে অনেক খনিজ পদার্থ রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই আমরা বলতে পারি ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর একটি অন্যতম উপায় হলো লেবু রস খাওয়া।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমানোর খাবারঃ

দিন দিন হৃদ আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এই হৃদরোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর আবার এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো চর্বিযুক্ত মাছ, চিয়া সিড, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, গাজর পালং শাক, কুমড়া বীজ। এইসব খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এবং সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এসব খাবার বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ভেষজ ঔষধঃ

উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দিন দিন আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে। এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হল খাদ্যাভ্যাস। এর পাশাপাশি কিছু ভেষজ ঔষধ রয়েছে যেগুলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রিয় পাঠক চলুন জেনে নিই কিছু ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে। ভেষজ ঔষধ গুলোর মধ্যে রয়েছে তুলসী, ফরাসি ল্যাভেন্ডার, রসুন, ফ্লেক্স সিড, উঙ্কারিয়া টমেন্টসা। এসব ভেষজ ঔষধ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক উপকারী।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই অনুচ্ছেদে ঔষধ ছাড়া কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ হাই প্রেসার কমানো যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আমরা যদি এইসব ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলো মেনে চলি তাহলে আমরা ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবো। আমাদের শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য ঔষধের বিকল্প হিসেবে ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে হবে। আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। তবে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরামর্শ মূলক কোন কিছু বলতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url