সুন্দরবনের অপর নাম কি-সুন্দরবনের ইতিহাস

সুন্দরবনের নামকরণের সুন্দর ইতিহাস রয়েছে। প্রাকৃতিক নিয়মে ভৌগোলিক গঠনেই সুন্দরবনের সৃষ্টি। বাংলাদেশের একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পিছনে সুন্দরবনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর তিনটি সমুদ্র উপকূলীয় বনের মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। বাংলাদেশের দক্ষিণ অবস্থিত এই সুন্দরবনের রয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।

সুন্দরবনের অপর নাম কি-সুন্দরবনের ইতিহাস
সাগরের কোল ঘেঁষে এই বিশাল সুন্দরবন গড়ে উঠেছে। সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ সহ প্রচুর গাছপালা, পশুপাখি, জীবজন্তু এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাণী রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সুন্দরবনের নামকরণ সুন্দরবনের ইতিহাস সুন্দরবনের ভৌগলিক অবস্থান এবং সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে জানবো।

সূচিপত্রঃ- সুন্দরবনের অপর নাম কি-সুন্দরবনের ইতিহাস-সুন্দরবনের ভৌগোলিক গঠন

ভুমিকাঃ

সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের কোলে অবস্থিত এক বিস্ময়। কিসের প্রাকৃতিক আশ্চর্য গুলোর মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। সুন্দরবন একটি প্রশস্ত বনভূমি। জোয়ার ভাটা, সবুজ গাছপালা এবং বিভিন্ন বন্য প্রাণীর সমাহার রয়েছে সুন্দরবনে। যা প্রতিনিয়তই মানুষকে হাতছানি দেয়। ভয়ংকর হওয়া সত্ত্বেও এই সুন্দরবনের রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার।

আপনি চাইলেই এই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে আসতে পারেন। প্রতিবছরই শীতকালে প্রকৃতি প্রেমিক লোকজন সুন্দরবনের সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য ঘুরতে যান। শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বহু পর্যটক এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।

সুন্দরবনের অপর নাম কিঃ

সুন্দরবনের অপর নাম কি এই প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেকেই জানিনা। সুন্দরবনের অপর নাম হল ম্যানগ্রোভ বন বা লোনা পানির বন। এই বোনের বিশেষত্ব হলো জোয়ারের সময় এই বন প্লাবিত হয় এবং ভাটার সময় পানি নেমে যায়। এজন্যই সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ বন বা লোনা পানির বন বলা হয়।

সুন্দরবনের অবস্থানঃ

বাংলাদেশকে ডেল্টা বা বদ্বীপ বলা হয়। বাংলাদেশের পদ্মা মেঘনা এবং ব্রহ্মপুত্র নদী তিনটির অবিবাহিকায় সুন্দরবন অবস্থিত। নির্দিষ্ট করে বললে-বাংলাদেশের খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট এবং বরগুনা জেলার কিছু অংশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই দুই জেলা জুড়ে সুন্দরবনের অবস্থান। সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নোনা পরিবেশের ম্যানগ্রোভ বন।
সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশে রয়েছে ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) এবং ভারতের অংশে রয়েছে (৩৪%)।

বিশ্ব ঐতিহ্যে সুন্দরবনের স্থানঃ

সুন্দরবন প্রকৃতপক্ষে এক বিস্ময় এবং রহস্যের নাম। ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। সুন্দরবন বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুই ভূখণ্ডে অবস্থিত হওয়া সত্বেও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সুন্দরবনকে ‘সুন্দরবন’ ও ‘সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান’ নামে সূচিবদ্ধ করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য ২০২০ সালে আইইউসিএন রেড লিস্ট অফ ইকোসিস্টেম ফ্রেমওয়ার্কের এক মূল্যায়নে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশকে বিপন্ন হিসেবে মনে করা হয়ে ছিল।

সুন্দরবনের পরিবেশ কেমনঃ

সুন্দরবনের পরিবেশ অদ্ভুত এবং রহস্যে ঘেরা। সামুদ্রিক স্রোতধারা কাদা ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততা সহ ছোট ছোট দ্বীপ দ্বারা ঘেরা সুন্দরবন। সুন্দরবনের ভেতরেও প্রচুর ছোট ছোট নদী রয়েছে।সুন্দরবনের নদী নালা, খাল, বিল সবমিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চলের পরিমাণ মোট বনভূমির ৩১.১ % বা ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার।
সুন্দরবনের অপর নাম কি-সুন্দরবনের ইতিহাস
সুন্দরবনে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থলের জন্য পরিচিত। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাখি চিত্রা হরিণ কুমির, সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর বসবাস রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি এক জরিপে দেখা গেছে বর্তমানে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা 106 টি। এবং চিত্রাহরনের সংখ্যা প্রায় ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ টি।

সুন্দরবন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুঃ

এই ম্যানগ্রোভ বন ৯৯২ সালের ২১ শে মে রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিবছর সুন্দরবনে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি প্রকৃতি সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করা সুযোগ রয়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে।

সুন্দরবনের প্রধান গাছ হল সুন্দরী গাছ (Heritiera fomes) এবং গেওয়া (Excoecaria agallocha)। এছাড়াও সুন্দরবনে গড়ান, বায়েন, হেতাল, পশুর খামু, লতা সুন্দরী, গোলপাতা, কেওড়া, ধুন্দল, চইলা, কাঁকড়া, খলসি ইত্যাদি গাছ রয়েছে। সুন্দরবনের প্রায় ২৯০ প্রজাতির পাখি ১২০ প্রজাতির মাছ ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ৩৫ প্রজাতির স্মৃতির এবং আর্ট প্রজাতির উভচর প্রাণীসহ প্রায় ৪৫৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বসবাস করে।

সুন্দরবন থেকে মাছ এবং কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণি ব্যতীত অন্যান্য বন্যপ্রাণী শিকার করার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরেও কিছু অসাধু মানুষের কারণে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র এবং প্রজাতির সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। যার ফলে সুন্দরবন তার গুনাগুন হারাচ্ছে।

সুন্দরবনের নামকরণঃ

আক্ষরিক অর্থে সুন্দরবন মানে সুন্দর জঙ্গল বা সুন্দর বনভূমি। ধারণা করা হয় যে (প্রাচীন আদিবাসী) "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" থেকে সুন্দরবন নামকরণ হয়েছে। সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ সব থেকে বেশি জন্মায়। সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয় সুন্দরী গাছের জন্যই হয়তো এই বনের নাম সুন্দরবন।

সুন্দরবনের ইতিহাসঃ

জানা যায় ১২০৩-১৫৩৮ মুঘল আমলে ওই এলাকার একই স্থানীয় রাজা সম্পূর্ণ বনটি যারা নিয়েছিলেন।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীরের কাছ থেকে স্বত্বাধিকার পায়। এবং তারপরে সুন্দরবনের মানচিত্র আঁকা হয়। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তদানীন্তন ভারতবর্ষের বাংলা প্রদেশে বন বিভাগ স্থাপিত হয়।

এবং সাংগঠনিকভাবে এই বনাঞ্চলটি বন বিভাগের অধীনে আসে। সুন্দরবনের বর্তমান আয়তনের চেয়ে ১৮০০ সালের প্রথমের দিকে এর আয়তন দ্বিগুণ ছিল। আশেপাশের অঞ্চলের লোকজন ধীরে ধীরে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে। যার ফলে সুন্দরবনের আয়তন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৮২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার সুন্দরবনের মালিকানা লাভ করে।

১৮২৯ সালে এল. টি হজেয কর্তৃক সুন্দরবনের সর্বপ্রথম সার্ভে পরিচালনা করা হয়। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন অঞ্চলকে সংরক্ষিত বন বলে ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান বিভাগের সময় সুন্দরবন বিভক্ত হয়। এবং বাংলাদেশে পায় ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটারের বৃহত্তম একটি অঞ্চল। যা বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪.৩% এবং ভারতের পায় প্রায় ৬৬%।
সুন্দরবনের অপর নাম কি-সুন্দরবনের ইতিহাস
১৮৬৯ সালে বনবিভাগ প্রথমবারের মতো সুন্দরবনের ওপর আইনি অধিকার পায়। ১৯৬৫ সালের বন আইন (ধারা ৮) অনুযায়ী ১৮৭৫-৭৬ সালে সুন্দরবনের একটি বৃহৎ অংশকে সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবং পরের বছর অবশিষ্ট বনাঞ্চল টিকেও সংরক্ষিত বনভূমির আওতায় নিয়ে আসা হয়। এবং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুন্দরবনের নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে আসে।

১৮৭৯ সালে সুন্দরবনকে রক্ষা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক একক হিসেবে বনবিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বন বিভাগের সদর দপ্তর ছিল খুলনায়। ১৮৯৩-৯৮ সালের মধ্যে সর্বপ্রথম পণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সুন্দরবনকে ১৯১১ সালে ট্র্যাক্ট অফ ওয়েস্ট ল্যান্ড ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার পূর্বে সুন্দরবনে কোন প্রকার জরিপ বা কোনদিন শুমারীরও করা হয় নি।

তখন সুন্দরবনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল হুগলি নদীর মোহনা থেকে মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত। এই সীমানার আয়তন ছিল প্রায় ১৬৫ মাইল (২৬৬ কি.মি.) সুন্দরবন বিশ্বের প্রথম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরে প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর ও সম্ভারে ভরা এই সুন্দরবন বিজ্ঞানভিত্তিক তত্ত্বাবধানে অধীনে আসে।

সুন্দরবনের ভৌগোলিক গঠনঃ

সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারত এই দুই দেশের অঞ্চলনিয়ে অবস্থিত। এবং এই সুন্দরবন হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তিনটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের মধ্যে একটি। গঙ্গা অববাহিকায় অবস্থিত এই সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান খুব জটিল। সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় অঞ্চলটি (৬৬%) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এবং বাকি অংশ ভারতের অধীনে।

সুন্দরবনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পূর্বে ধলেশ্বরী নদী এবং উত্তরে প্রচুর চাষযোগ্য জমে রয়েছে। প্রায় ২০০ বছর আগের হিসাবে সুন্দরবনের প্রকৃত আয়তন ১৬,৭০০ বর্গ কি.মি. হবার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এর আয়তন হ্রাস পেয়ে পূর্বের আয়তনের এক-তৃতীয়াংশের সমানে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. যার মধ্যে বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. এবং প্রায় ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি. এর মত নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারা রয়েছে।

সুন্দরবন যেহেতু বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এবং উজানের অনেক নদী সুন্দরবনের প্রবাহিত হয়েছে তাই সুন্দরবনের পানি তে রোনা পানি ও মিঠা পানি মিশ্রণ রয়েছে। গঙ্গা বা পদ্মা নদী থেকে আসা মিঠা পানি এবং বঙ্গোপসাগরের নোনা পানির মধ্যবর্তী স্থান এই বনাঞ্চলটি। সুন্দরবন প্রধানত বাংলাদেশের সাতক্ষীরা খুলনা বাগেরহাট পটুয়াখালী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা জুড়ে অবস্থিত।

আরো নির্দিষ্ট করে বললে সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমে এবং ভারতের খিন পূর্বে অবস্থিত। হাজার বছর ধরে বঙ্গোপসাগর বরাবর অনেক নদীর প্রবাহের কারণে প্রাকৃতিকভাবেই উপরের শ্রদ্ধেকে বেয়ে আসা পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে সুন্দরবন গড়ে উঠেছে। সুন্দরবনের ভৌগোলিক গঠন হলো ব দ্বীপীয়। যার উপরিভাগে প্রচুর জলধারা রয়েছে এবং পানির নিচে রয়েছে মাটির দেয়াল ও কাদাবালির চর। এছাড়া সমগ্রতলের গড় উচ্চতা থেকে অনেক উঁচুতে রয়েছে প্রাণপ্রিয় বনাঞ্চল বা তৃণভূমি, বালু তট এবং দ্বীপ।

এছাড়াও এই অঞ্চলটিতে জালের মত বিছিয়ে রয়েছে ছোট ছোট নদী, খাল, বিল, পুরাতন ব-দ্বীপীয় কাদা, জমে থাকা পলিমাটি, পানির নিচের মাটির দেয়াল ইত্যাদি। সমগ্র সমতল থেকে সুন্দরবনের উচ্চতা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম। কোন স্থানে সুন্দরবনের উচ্চতা প্রায় ০.৯ মিটার। আবার কোন স্থানে এর উচ্চতা ২.১১ মিটার। সমুদ্রসমতল থেকে সুন্দরবনের উচ্চতা স্থানভেদে ০.৯ মিটার থেকে ২.১১ মিটার। সামুদ্রিক বিভিন্ন বিষয়ের গঠন প্রক্রিয়া এবং প্রাণীর বৈচিত্রের ক্ষেত্রে সুন্দরবনের জৈবিক উপাদান গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপসংহারঃ

সুন্দরবন শুধু বিশ্ব ঐতিহ্য নয়, বাংলাদেশের মৃনুষের জন্য গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করতে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। সুন্দরবন হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। তাই, সুন্দরবন ও এর প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগী হওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Timeline Treasures নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url